ব্রাজিলের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে লাতিন আমেরিকার দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আরো তীব্র করার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। বুধবার ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক চিঠিতে বিষয়টি জানান ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

চিঠিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ব্রাজিল ‘আক্রমণ’ চালাচ্ছে। সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

৯০ দিনে মাত্র ৩টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

উড়োজাহাজ ও ফুড ড্রিংক কিনতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব

এদিকে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছেন, ব্রাজিলের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তিনি দেশের বিচার ব্যবস্থায় যেকোনো হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

সপ্তাহের শুরুতে বলসোনারোর বিচার নিয়ে ট্রাম্প লুলার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সেসময় লুলা বলেন, “বিচার কার্যক্রমে ব্রাজিল কারো হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না।” তিনি আরো বলেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের কাছে ২২টি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব চিঠিতে তিনি ওই সব দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান। তার ভাষ্য অনুযায়ী নতুন শুল্ক আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

তবে ব্রাজিলকে পাঠানো চিঠিটি ছিল অনেক বেশি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আক্রমণাত্মক। সেখানে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি ব্রাজিলকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা যেকোনো পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন, যা বিদ্যমান ‘সেক্টরাল শুল্ক’ থেকে আলাদা।

গত বছর ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্র লাভজনক অবস্থানে ছিল। তারা ব্রাজিলে যতো পণ্য বিক্রি করেছে, তার চেয়ে কম পণ্য আমদানি করেছে। চিঠিতে ট্রাম্প প্রস্তাবিত ৫০ শতাংশ শুল্ককে ‘প্রয়োজনীয়’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ব্রাজিলের বর্তমান সরকারের গুরুতর অবিচার সংশোধনের জন্য এটি জরুরি।”

লুলার সঙ্গে ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যে এই চিঠিটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ তিনি ব্রাজিলকে অতি-ডানপন্থি নেতা জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র শ ল ক আর প র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

নানা আয়োজনে বেরোবিতে রোকেয়া দিবস পালিত

রংপুরে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে রোকেয়া দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে।

‎মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী ।

এরপর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মাছুমা হাবিব।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর।  

উপাচার্য অধ্যাপক শওকাত আলীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রায় যোগ দেন। শোভাযাত্রাটি শহীদ আবু সাঈদ চত্বর মডার্ন মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে এসে শেষ হয়।

‎সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাধীনতা স্মারক মাঠে রোকেয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মাছুমা হাবিব।

তিনি বলেন, “রোকেয়ার দেখানো পথ ধরে আজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। নারী জাগরণ ও নারীশিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।”

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “লেখক হিসেবে রোকেয়া সাখাওয়াত ছিলেন বাস্তবতবাদী। এটি রোকেয়ার রচনা বা কাজের প্রধান সূত্র। রোকেয়া তুলনামূলক কম প্রবন্ধ লিখলেও বাংলা ভাষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন স্বতন্ত্র ধারার প্রাবন্ধিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।”

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বিশ শতকের প্রথম দিকে নারীসমাজে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।”

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী বলেন, “নারী জাগরণ, শিক্ষার প্রসার, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও সাম্যের চেতনায় রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যে স্বপ্ন লালন করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজ নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন।”

‎আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোকেয়া দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সচিব মো. সেলিম রেজা, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কুন্তলা চৌধুরী, বেরোবি ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ এক্সিলেন্সের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার মেহজাবীন ইলাহী, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হানি জোহরা তানিয়া।

ঢাকা/সাজ্জাদ/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ