শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনের মত সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মিলাদ মাহফিল আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণের কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

৪ নং ওয়ার্ডের শিমরাইল, ওয়াপদা কলোনি, আটি গ্রাম, ৬ নং ওয়ার্ডের আদমজী নতুন বাজার, এসও রোড , গোদনাইল পদ্মা ওয়েল ডিপো সংলগ্ন ট্যাঙ্কলরি টার্মিনাল এবং ৩ নং ওয়ার্ডের নয়াআটি বটতলা এলাকায় এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। তারপর নিজে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেন। কিন্তু স্বাধীনতার সেই সুফল মানুষের কাছে পৌঁছেনি।

স্বাধীনতার পর পর যিনি ক্ষমতায় বসে ছিলেন তার সময়ে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে, গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে, মানুষের অধিকার ও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ৭৫ এর পদ পরিবর্তন এর পর দেশ ও জাতি যখন আবারও গভীর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে তখনো আবার শহীদ জিয়া এগিয়ে আসেন।

তিনি দেশ পরিচালনা দায়িত্ব নিয়ে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। শহীদ জিয়ার আদর্শে তার হাতে গড়া দল বিএনপিও শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে গত ৪৪ বছর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়ার গড়া দল বিএনপি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে মানুষের কল্যাণে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং দেশ যখন ফ্যাসিবাদ কিংবা স্বৈরতন্ত্রের কবলে পড়ে তখন সেখান থেকে মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই করে। শহীদ জিয়া বিএনপি গঠন করেছেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

তিনি বলেন বিএনপি সকল মত ও পথের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রাথমিক ফলাফল এসেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। আমরা বিশ্বাস করি সেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। এটাই হবে আমাদের জনগণের চূড়ান্ত বিজয়। শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা সেই প্রত্যাশাই করি। 

এই সকল অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, মহানগর ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি রাকিবুল রহমান সাগর, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন স ব ধ নত ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।

সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’

নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই: রাশেদ খান
  • প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের পরিস্থিতি অস্থির করে তুলছে: ফারুক
  • নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
  • ১৭ বছর এক অসুর জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল: নিপুন রায় 
  • নির্বাচিত সরকার না থাকায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি: আমীর খসরু
  • অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • ড. ইউনূসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • চাঁদপুরে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় এনসিপির নিন্দা
  • রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো নয়: ফরহাদ মজহার
  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট