হিরাঝিলে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া
Published: 31st, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং গরিব অসহায় মানুষের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
(৩১ মে) শনিবার দুপুর ২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল আল-হেরা ভবনের সামনে প্রায় ৪ থেকে ৫ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ- অর্থ সম্পাদক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন। আরো উপস্থিত ছিলেন, কৃষক দল নেতা শফিকুর রহমান, শাহজাহান, মোতালেব, জলিল, খোকন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৩০ শে মে আমাদের মহান নেতা স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে এই দেশ স্বাধীনতার মুখ দেখেছে। তিনিই একমাত্র স্বাধীনতার ঘোষক। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের কারণে আমরা দলীয় কোন অনুষ্ঠান করতে পারিনি।
৫ আগস্টে দেশের জনগণ স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, তাদের প্রিয় নেত্রী তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী করে ব্যাপক নির্যাতন করেছেন।
মাদের নামে শত শত মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। আজ সেই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে রোহিঙ্গাদের মতো ভারতে পালিয়ে আছে। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না তার প্রমাণ শেখ হাসিনা নিজেই।
আলোচনা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় ও বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু কামনা করে কোমলমতি শিশুদের দিয়ে মুনাজাত শেষে সবার মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করে দোয়া মাহফিল সমাপ্ত করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।