বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘রায়ও এসেছে, রিটও খারিজ, আর কিসের জন্য অপেক্ষা’
Published: 1st, June 2025 GMT
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আজ রোববারও নগর ভবন চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তাঁর সমর্থকেরা।
‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী ও দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষ। তাঁরা বলছেন, জনগণের রায়ে নির্বাচিত মেয়রের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে হবে—এটাই তাঁদের একমাত্র দাবি।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘রায়ও এসেছে, রিটও খারিজ, আর কিসের জন্য অপেক্ষা? সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্ব দিচ্ছে না।’
নগর ভবনের মূল ভবনে প্রবেশের সব ফটকে গত ১৫ মে থেকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর ফলে করপোরেশনের সব ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধসহ নাগরিকদের নিয়মিত কাজগুলো ব্যাহত হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী অঘোষিত ছুটিতে চলে গেছেন।
ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অবস্থানের কারণে কার্যত দপ্তরগুলোয় কেউ ঢুকছে না। অফিসের পরিবেশ নেই। যে যার মতো দূরে সরে আছে।’
ইশরাক হোসেনকে ঢাকার দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ঘোষণার পরই বিষয়টি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। একটি পক্ষ উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করে। তবে হাইকোর্ট সেই রিট খারিজ করে দেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।