রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ বাদে বাকি ছয় বিভাগের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ গতকাল রোববারের চেয়ে আজ কম হতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টি আরও কমে যেতে পারে।

তবে যেহেতু মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় আছে, তাই এখন বৃষ্টি মোটামুটি হবে—এমনটা বলেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির।

তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে আজ বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে।

ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেট ও চট্টগ্রামের পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরের নদী তিস্তার পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে। এটি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থায় চলে যেতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে। যমুনার পানিপ্রবাহ স্থিতিশীল আছে। এ অবস্থায় দেশের ছয় জেলার নদীসংলগ্ন এলাকায় বন্যার ঝুঁকির কথা গতকাল জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ছয় জেলা হলো সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ফেনী।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই ও হালদার সাত পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা এ অবস্থা থাকতে পারে।

দেশে এ বছর নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত সপ্তাহখানেক আগে ২৪ মে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এতে দেশজুড়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। গভীর নিম্নচাপটি চলে গেলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে মৌসুমি বায়ু।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এখন বৃষ্টি হচ্ছে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে। এটা এখন পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে।

গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীতে তিন মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়। বৃষ্টি বেশি হয়েছে সকাল ছয়টার পর থেকে। কিন্তু এ সময় কতটুকু বৃষ্টি হয়েছে, তার রেকর্ড এখনো আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাতে পারেনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজ ব ষ ট প রব হ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ