মৌসুমি বায়ু সক্রিয়, ছয় বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
Published: 2nd, June 2025 GMT
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ বাদে বাকি ছয় বিভাগের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ গতকাল রোববারের চেয়ে আজ কম হতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টি আরও কমে যেতে পারে।
তবে যেহেতু মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় আছে, তাই এখন বৃষ্টি মোটামুটি হবে—এমনটা বলেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির।
তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে আজ বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেট ও চট্টগ্রামের পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরের নদী তিস্তার পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে। এটি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থায় চলে যেতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে। যমুনার পানিপ্রবাহ স্থিতিশীল আছে। এ অবস্থায় দেশের ছয় জেলার নদীসংলগ্ন এলাকায় বন্যার ঝুঁকির কথা গতকাল জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ছয় জেলা হলো সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ফেনী।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই ও হালদার সাত পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা এ অবস্থা থাকতে পারে।
দেশে এ বছর নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত সপ্তাহখানেক আগে ২৪ মে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এতে দেশজুড়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। গভীর নিম্নচাপটি চলে গেলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে মৌসুমি বায়ু।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এখন বৃষ্টি হচ্ছে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে। এটা এখন পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে।
গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীতে তিন মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়। বৃষ্টি বেশি হয়েছে সকাল ছয়টার পর থেকে। কিন্তু এ সময় কতটুকু বৃষ্টি হয়েছে, তার রেকর্ড এখনো আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাতে পারেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজ ব ষ ট প রব হ গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি
জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।
‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।
শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’