রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার পর ঘটনাটি ঘটে।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, “গোলাগুলির খবর আমরা শুনেছি। সেখানে কারো নিহত হওয়ার খবর শুনিনি। একটি শিশু ও একজন বয়স্ক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় সেখানে এখনো আমাদের যাওয়া সম্ভব হয়নি।”
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, উত্তর বঙ্গলতলীর জারুলছড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আজ সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে কিছুক্ষণ পর পর গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় এক শিশু পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। দুইটি সংগঠনই আহতদের বিষয়ে কোন তথ্য জানায়নি।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আহত আরো একজনের মৃত্যু
শরীয়তপুরে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
আহত শিশুর নাম প্রজ্ঞা চাকমা। সে শুভরঞ্জন কার্বারী পাড়ার আয়তন চাকমার সন্তান। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইউপিডিএফ-এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, “সকাল ৯টার দিকে জনসংহতি সমিতির একটি সশস্ত্র গ্রুপ হঠাৎ গ্রামে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে এক শিশু আহত হয়। আমাদের কোনো নেতাকর্মী আহত বা নিহত হয়নি। আমরা এই হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
জনসংহতি সমিতির স্টাফ সদস্য জুপিটার চাকমা ইউপিডিএফর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতি করি। আমাদের কোনো সশস্ত্র শাখা বা কর্মী নেই। এসব অবান্তর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।”
ঢাকা/শংকর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি
জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।
‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।
শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’