রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র  ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের ইমামতিতে কয়েক হাজার মুসল্লি ঈদের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন।

এই জামাতে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নামাজ শেষে ঈদগাহে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নামাজ আদায় করেন।

সকাল সাড়ে ৭টায় জামাত শুরুর কথা থাকলেও ভোর থেকেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। ভেতরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহের সামনের রাস্তা, কদম ফোয়ারা ও শিক্ষা ভবন পর্যন্ত মুসল্লিদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য় ঈদগ হ ঈদ ল আজহ য় ঈদগ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের নারীদের জন্য ‘অর্ধেক আকাশ’ খুলল মে মাসে

ভারতীয় নারী জাতির ক্ষমতায়নের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ১৭ জন অসম সাহসী ব্যতিক্রমীর নাম, যাঁরা ২০২৫ সালের ৩০ মে মহারাষ্ট্রের পুনের ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমি (এনডিএ) থেকে স্নাতক হলেন। ৩১৯ জন পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে ‘পাসিং আউট প্যারেড’, যার পোশাকি নাম ‘অন্তিম পাগ’, তাতে অংশ নিলেন ভারতের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই ১৭ জন হবু নারী কর্মকর্তা।

এনডিএর ৭৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পুরুষদের সঙ্গে পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই সঙ্গে একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে শামিল হতে চলেছেন এই নারীরা। কিছুকাল আগেও যে অধিকার দেশের নারীদের ছিল না, যা ছিল তাঁদের কল্পনার অতীত, ৩০ মে তা ধরা দিল।

নারী ‘অর্ধেক আকাশ’ হলেও ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে পুরুষের মতো তাঁদের সমান অধিকার ছিল না পাঁচ বছর আগেও। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই অধিকার তাঁদের অর্পণ করেন। তত দিন পর্যন্ত স্নাতক হওয়ার পর নারীরা চেন্নাইয়ের ‘অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে’ এক বছরের ‘কোর্স’ করে সেনাবাহিনীতে কর্মকর্তা হতে পারতেন। কিন্তু স্কুলের গণ্ডি টপকানোর পর এনডিএতে পুরুষদের মতো তিন বছরের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর স্নাতক হয়ে সেনাবাহিনীতে স্থায়ী কমিশন পদে নিযুক্তি পেতেন না। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ওই ১৭ জন নারী সেই অধিকার অর্জন করলেন।

কতটা কঠিন সেই প্রশিক্ষণ? একটা ছোট্ট উদাহরণ হলো, পুরুষদের সঙ্গে তাঁদের মতো ১৪ কিলোমিটার দৌড়নোর পর লিখিত পরীক্ষা দিতে বসা। এ দিনটির কথা কল্পনা করেই সম্ভবত ২০২১ সালে ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবনে সে বছরের অন্তিম পাগের সমাবর্তনের আসরে বলেছিলেন, ‘আজ থেকে ৪০ বছর পর হয়তো দেখা যাবে, আজ আমি যেখানে দাঁড়িয়ে, কোনো নারী সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অভিবাদন গ্রহণ করছেন।’

সে বছরেই এনডিএর দরজা প্রথমবারের মতো নারীদের জন্য খোলা হয়েছিল। ৩০ মে সেই নারীরা স্নাতক হওয়ার পর জেনারেল নরবনে সংবাদমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে লিঙ্গের সাম্যতা অর্জনে এটাই প্রথম পদক্ষেপ। এঁরাই একদিন সামনে থেকে বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের গর্বিত করবেন।’

পরিবর্তন শুধু সামাজিক ও মানসিক স্তরে নয়, এতকালের বন্ধ দরজা নারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে এনডিএকেও অনেক বদলাতে হয়েছে। এযাবৎ নারীবর্জিত শিক্ষাকেন্দ্রে নারীদের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান ও শৌচালয়ের বন্দোবস্ত করতে হয়েছে। বদলাতে হয়েছে নিরাপত্তা প্রটোকল। নতুন নিয়মাবলি ও বিধিমালা তৈরি করতে হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছেন এক নারী ক্যাডেট–৩০ মে, পুনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ