কথা ছিলো সুখে-দুখে একসঙ্গে থাকবেন দুইজন। দুইজন মিলে সাজাবেন নিজেদের সংসার। কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে  রিয়া চক্রবর্তীর স্বপ্নেরও মৃত্যু হয়।

মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয়েছিল, সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মহত্যা করেননি। তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। সুশান্তকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দিয়েছেন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। প্রয়াত অভিনেতার পরিবার এবং অনুরাগীদের এমনই দাবির প্রেক্ষিতে মিডিয়ার প্রচারণা ছিল তুঙ্গে।

সুশান্তের বাবা ও বোনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেত্রী রিয়া এবং তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছিল স্থানয় পুলিশ। পরে আদালতে মামলা ওঠার পর তাদের জেলে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

ঈদ স্মৃতি
গরুর সঙ্গে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরতাম

নিজেকে দীপিকার প্রেমিক দাবি করে আলোচনায় মুজম্মেল

সে সময় এ-ও শোনা গিয়েছিল, রিয়া নিয়মিত মাদক সরবরাহ করতেন সুশান্তকে। কিন্তু রিয়া বার বার বলার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কোনোভাবেই সুশান্তের মৃত্যুর ব্যাপারে জড়িত নন। এমনকি সুশান্তকে মাদক সরবরাহ করার নেপথ্যেও তার হাত ছিল না

দীর্ঘ পাঁচ বছর তদন্ত চলে। এরপরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়ে। এতে সিবিআই নিশ্চিত করেছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা। তদন্তে অন্য কোনও দিক উঠে আসেনি। ফলে রিয়া এবং তার ভাইয়ের উপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে কাজ কমতে থাকে রিয়ার। তিনি এরপর শুরু করেন ব্যবসা। এই মুহূর্তে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন দুই ভাই-বোন মিলে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিয়া জানান, ‘‘ সুশান্ত আত্মহত্যা করার পরে আমার অভিনয়ের প্রস্তাব আসা বন্ধ হতে থাকে।’’

রিয়া আরও জানান,  ‘‘আমার ভাই শৌভিক ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে এমবিএ পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিল। এর কয়েক মাসের মধ্যেই শৌভিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুই ভাই-বোন মিলে রেডিমেড পোশাকের ব্যবসা শুরু করেন। তাদের ব্র্যান্ডের অভিনবত্ব হল, টি-শার্টে কিছু না কিছু বিশেষ বার্তা থাকে। প্রায় সব কয়টিতে রয়েছে প্রতিবাদের ভাষা। যখন সুশান্ত-কাণ্ডে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, সেই সময় রিয়া একটি সোয়েট শার্ট পরে যান, যেটিতে পিতৃতন্ত্রকে পায়ের নীচে পিষে দেওয়ার কথা লেখা ছিল। এরপর ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা বড় হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার বাজার মূল্য তাদের সংস্থার।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরের রাজারহাটে ঈদ-পরবর্তী প্রথম হাটে চামড়ার বেচাকেনা জমেনি

যশোরের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম রাজারহাটে পবিত্র ঈদুল আজহার পর প্রথম হাটে চামড়া বেচাকেনা জমেনি। ঈদের পর আজ মঙ্গলবার হাটে তেমন চামড়ার সরবরাহ আসেনি। সরকার নির্ধারিত দামেও চামড়ার বেচাবিক্রি হয়নি। এতে লোকসানে পড়েছেন প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। তবে আগামী শনিবারের হাটে কেনাবেচা জমজমাট হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

আজ সকাল ছয়টা থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ও ছাগলের চামড়া নিয়ে রাজারহাট মোকামে আসেন প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। অন্য বছরের তুলনায় এবার প্রথম হাটে চামড়ার সরবরাহ ছিল কম। সকাল ১০টার মধ্যে বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়। সাধারণত কোরবানির ঈদের পর প্রথম হাটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট বেচাকেনা চলে।

বৃহত্তর যশোর জেলা রাজারহাট চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আকিল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানি ঈদের পর আজ প্রথম দিনে চামড়ার হাট জমেনি। এদিন বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। আজ মূলত নিম্নমানের চামড়া হাটে তোলা হয়েছে। আগামী শনিবার জমজমাট কেনাবেচা হবে বলে তাঁরা আশাবাদী। তিনি বলেন, প্রথম দিন হাটে বেশি চামড়া ওঠেনি। গরুর চামড়া উঠেছিল ৩০ থেকে ৩৫ হাজার এবং ছাগলের চামড়া উঠেছিল ৩০ হাজারের মতো। মাত্র ৩৫ লাখ টাকার মতো বেচাকেনা হয়েছে। অথচ অন্যবার কয়েক কোটি টাকার কেনাবেচা হয়।

চলতি বছর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খাসি ও বকরির চামড়া ২২ থেকে ২৭ ও ২০ থেকে ২২ টাকা দর নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু রাজারহাট বাজারে বাস্তবতা ভিন্ন। কোনো চামড়া ফুট হিসেবে বেচাকেনা হয়নি। গরুর চামড়া মানভেদে প্রতিটি ২০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় কম।

কেশবপুর থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মহাদেব দাস প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে অনেক কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। অথচ কেনার সময় বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ছাগলের চামড়া প্রতিটি ১০ থেকে ২০ টাকা দরে মাঠ থেকে কিনতে হয়েছে। ওই চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করতে প্রতিটিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ হাটে ১০ থেকে ২০ টাকার বেশি কেউ দাম বলছে না। গরুর চামড়ার ক্ষেত্রেও লোকসান হচ্ছে। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে প্রতিটি গরুর চামড়া কিনতে হয়েছে। লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করতে প্রতিটি চামড়ায় ৭০ টাকার মতো খরচ হয়েছে। অথচ ৫০০ টাকার বেশি গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারেননি তিনি।

তবে পাইকারি ব্যবসায়ী যশোর রাজারহাট এলাকার মাজেদ শেখ বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘আজকের হাটে ১১০টি গরুর চামড়া কিনেছি। ৫০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে এই চামড়া কিনেছি। গত বছরের তুলনায় এবার চামড়ার দাম একটু বেশি। এবার ভালো মানের বড় গরুর চামড়া ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত দামে কিনতে হয়েছে। অথচ গত বছর ৫০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে চামড়া বেচাকেনা হয়েছিল।’

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথম দিনের হাটে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম থেকে ব্যাপারীরা আসেননি। এ জন্য চামড়ার সরবরাহ কম। দরও ওঠেনি। পরবর্তী হাট শনিবারের দিকে তাকিয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা। বাইরে থেকে ব্যাপারীরা এলে চামড়ার দর উঠবে বলে তাঁরা আশায় আছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আট কোটি টাকার প্রকল্প চালুর আগেই অচল
  • কাঁচাবাজারে ক্রেতা কম, দাম স্থিতিশীল
  • গাজায় রক্তাক্ত দিনে ৫৭ ত্রাণ প্রত্যাশীসহ ১২০ জন নিহত
  • চীনের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে হলে বিরল খনিজ দিতে হবে: ট্রাম্প
  • চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
  • হাউসবোটের ধাক্কায় লাইন বিচ্ছিন্ন, বিদ্যুৎহীন ৫ গ্রাম
  • রাজধানীর বাজারে ক্রেতা হাতে গোনা যায়, শাকসবজি ও মাছের সরবরাহ কম
  • গাজা নিয়ে গ্রেটা থুনবার্গ কি পশ্চিমের চোখ খুলতে পারবেন
  • যশোরের রাজারহাটে ঈদ-পরবর্তী প্রথম হাটে চামড়ার বেচাকেনা জমেনি
  • ২৪ নং ওয়ার্ডে পানির জন্য হাহাকার