সুশান্তের মৃত্যু যেভাবে পাল্টে দিয়েছে রিয়ার জীবন
Published: 9th, June 2025 GMT
কথা ছিলো সুখে-দুখে একসঙ্গে থাকবেন দুইজন। দুইজন মিলে সাজাবেন নিজেদের সংসার। কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রিয়া চক্রবর্তীর স্বপ্নেরও মৃত্যু হয়।
মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয়েছিল, সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মহত্যা করেননি। তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। সুশান্তকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দিয়েছেন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। প্রয়াত অভিনেতার পরিবার এবং অনুরাগীদের এমনই দাবির প্রেক্ষিতে মিডিয়ার প্রচারণা ছিল তুঙ্গে।
সুশান্তের বাবা ও বোনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেত্রী রিয়া এবং তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছিল স্থানয় পুলিশ। পরে আদালতে মামলা ওঠার পর তাদের জেলে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
ঈদ স্মৃতি
গরুর সঙ্গে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরতাম
নিজেকে দীপিকার প্রেমিক দাবি করে আলোচনায় মুজম্মেল
সে সময় এ-ও শোনা গিয়েছিল, রিয়া নিয়মিত মাদক সরবরাহ করতেন সুশান্তকে। কিন্তু রিয়া বার বার বলার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কোনোভাবেই সুশান্তের মৃত্যুর ব্যাপারে জড়িত নন। এমনকি সুশান্তকে মাদক সরবরাহ করার নেপথ্যেও তার হাত ছিল না
দীর্ঘ পাঁচ বছর তদন্ত চলে। এরপরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়ে। এতে সিবিআই নিশ্চিত করেছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা। তদন্তে অন্য কোনও দিক উঠে আসেনি। ফলে রিয়া এবং তার ভাইয়ের উপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে কাজ কমতে থাকে রিয়ার। তিনি এরপর শুরু করেন ব্যবসা। এই মুহূর্তে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন দুই ভাই-বোন মিলে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিয়া জানান, ‘‘ সুশান্ত আত্মহত্যা করার পরে আমার অভিনয়ের প্রস্তাব আসা বন্ধ হতে থাকে।’’
রিয়া আরও জানান, ‘‘আমার ভাই শৌভিক ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে এমবিএ পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিল। এর কয়েক মাসের মধ্যেই শৌভিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুই ভাই-বোন মিলে রেডিমেড পোশাকের ব্যবসা শুরু করেন। তাদের ব্র্যান্ডের অভিনবত্ব হল, টি-শার্টে কিছু না কিছু বিশেষ বার্তা থাকে। প্রায় সব কয়টিতে রয়েছে প্রতিবাদের ভাষা। যখন সুশান্ত-কাণ্ডে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, সেই সময় রিয়া একটি সোয়েট শার্ট পরে যান, যেটিতে পিতৃতন্ত্রকে পায়ের নীচে পিষে দেওয়ার কথা লেখা ছিল। এরপর ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা বড় হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার বাজার মূল্য তাদের সংস্থার।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।