অস্ট্রিয়ার স্কুলে গুলিতে কয়েকজন নিহত, বলছে পুলিশ
Published: 10th, June 2025 GMT
অস্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গুলির ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ড্রেইয়ার্সচুৎজেনগাসে উচ্চ বিদ্যালয়ে গুলির ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
পুলিশের এক মুখপাত্র সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ওআরএফকে জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান চলছে এবং সেখানে একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে দুই খুন : সাবেক কাউন্সিলরকে ‘হুকুমের আসামি’ করে ৪৩ জনের নামে হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি পক্ষের সংঘর্ষে দুটি খুনের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। রাজমিস্ত্রি আবদুল কুদ্দুস (৭০) হত্যার ঘটনায় তাঁর মেয়ে রোখসানা আক্তার গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারকে ‘হুকুমের আসামি’ করা হয়েছে। মামলায় বাবু ওরফে জুয়াড়ি বাবুসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আড়াই ঘণ্টার ব্যবধানে দুজন খুন২২ জুন ২০২৫বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল কুদ্দুস হত্যা মামলায় শাকিল ও জজ মিয়া নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, একই সংঘর্ষে নিহত মেহেদী হাসান হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
আবদুল কুদ্দুসের জামাতা মিনার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার শ্বশুর আবদুল কুদ্দুস নিরীহ মানুষ ছিলেন। তিনি কখনো ঝগড়া-ঝামেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুনএলাকায় থমথমে অবস্থা, আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ১৮ ঘণ্টা আগেগত শনিবার রাত ৯টার দিকে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির হান্নান সরকার ও আবুল কাউসার–সমর্থিত দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে রাজমিস্ত্রি আবদুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে হত্যা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এই ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেহেদী হাসানকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা হান্নান সরকার–সমর্থিত বাবু-মেহেদী এবং মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার–সমর্থিত রনি-জাফর পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরেই ওই দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।