যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাজনা বেজে গেছে। ঠিক এক বছর পর অর্থাৎ আগামী বছরের ১১ জুন পর্দা উঠবে প্রথমবার ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের।

ওই টুর্নামেন্টে জায়গা পেতে উত্তর, দক্ষিণ, মধ্য আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং ওশেনিয়া মহাদেশের দলগুলোর লড়াই শুরু হয়েছে বেশ আগে। এরই মধ্যে বড় বড় কিছু নাম বিশ্বকাপে তাদের টিকিট বুকিং দিয়ে ফেলেছে।

ওদিকে দারুণ লড়াই হলেও আফ্রিকা মহাদেশের বাছাইপর্ব পেরিয়ে এখনো কোন দল বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করতে পারেনি। মহাদেশটির ৫৪ দল বিশ্বকাপে যেতে লড়াই করছে। ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাই ওই অর্থে শুরুই হয়নি।

নেশন্স লিগ শেষ হওয়ায় এবার বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করার তোড়জোড় শুরু করবে ইউরোপের ৫৪ দল। নেশন্স লিগে না থাকায় ইউরোপের ‘জি’ থেকে ‘এল’ পর্যন্ত গ্রুপের বাছাই পর্ব শুরু হয়েছে। সেখানে বিপদে আছে ইতালির মতো দল। টানা তৃতীয়বার তারা বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার শঙ্কায় আছে।

এরই মধ্যে লাতিন অঞ্চল থেকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে। এশিয়া থেকে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়েছে। ওশেনিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত। স্বাগতিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা তো বিশ্বকাপে খেলবেই।

বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত হলো যাদের: ইরান, উজবেকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডান, অস্ট্রেলিয়া, জাপান (এশিয়া), যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো (স্বাগতিক এবং উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল), আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর ও ব্রাজিল (দক্ষিণ আমেরিকা), ওশেনিয়া (নিউজিল্যান্ড)।     

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব শ বক প র ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

অবরোধের প্রতিবাদে গাজার উদ্দেশে এবার ১৫০০ মানুষ

ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ প্রবেশ না করতে দেওয়ার প্রতিবাদে উপত্যকাটির দিকে রওনা দিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ মানুষ। তাঁদের মধ্যে অধিকারকর্মী ও ফিলিস্তিনের সমর্থকেরা রয়েছেন। গত মঙ্গলবার লিবিয়ার জাবিয়া শহরে পৌঁছান তাঁরা। সেখান থেকে তাঁদের মিসরের রাজধানী কায়রোয় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী এই বিপুলসংখ্যক মানুষ যাত্রা শুরু করেন আলজেরিয়া থেকে। এরপর তিউনিসিয়া হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছান তাঁরা। এরই মধ্যে তাঁরা মিসর সীমান্তের সালোম ক্রসিংয়ে পৌঁছাতে গাড়ি ও বাসে করে লিবিয়ার ত্রিপোলি, মিসরাতা ও সিরাত ও বেনগাজি শহর পাড়ি দিয়েছেন। এই মানুষগুলোর লক্ষ্য কায়রো থেকে গাজা সীমান্তের রাফা ক্রসিংয়ে পৌঁছানো।

১ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ার বাসিন্দা রয়েছেন। লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আরও অনেকে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যাত্রায় অংশ নেওয়া আলজেরিয়ার বাসিন্দা জামিলা শারিতাহ বলেন, এই যাত্রায় তিউনিসিয়া ও লিবিয়া সহযোগিতা করছে। জায়েদ আল–হামামি নামের আরেকজন বলেন, গাজায় খাবার প্রবেশের জন্য রাফা ক্রসিং খুলে দিতে চাপ দেবেন তাঁরা।

এদিকে যাত্রায় যোগ দিতে ইচ্ছুক দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে কায়রো থেকে আটক করা হয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যাত্রার আয়োজকেরা। আয়োজকদের মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক এএফপিকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, স্পেন, মরক্কো ও আলজেরিয়ার নাগরিকেরা রয়েছেন। বিমানবন্দর ও হোটেল থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার আয়োজকেরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আজ শুক্রবার গাজা অভিমুখে মূল যাত্রাটি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এতে অংশ নেওয়ার জন্য ৪০টির বেশি দেশের প্রায় চার হাজার মানুষ কায়রোগামী বিভিন্ন উড়োজাহাজের টিকিট কেটেছেন। যাত্রা শুরুর পর তাঁরা গাড়িতে করে মিসরের সিনাই উপদ্বীপের আল–আরিশ শহরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে ৫০ কিলোমিটার হেঁটে রাফা ক্রসিংয়ে যাবেন। ১৯ জুন ফিরে আসার আগপর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন তাঁরা।

এই যাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ‘জিহাদি বিক্ষোভকারী’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। তাঁদের সীমান্তে পৌঁছানো ঠেকাতে মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, সীমান্তে এই ব্যক্তিদের অবস্থান ইসরায়েলি সেনাদের নিরাপত্তা বিপদের মধ্যে ফেলবে। এমন কোনো কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া হবে না।

ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে হামলায় নিহত ৪০

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজায় খুবই সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এতে সেখানে খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার একমুঠো খাবারের আশায় গাজার দুটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

দুটি ত্রাণকেন্দ্রই পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)। গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগ ‘সিভিল ডিফেন্সের’ বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, বুধবার মধ্য গাজার ‘নেতজারিম করিডর’ এলাকায় একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৩১ জন নিহত ও প্রায় ২০০ আহত হন।

এ ছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা এলাকায় ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে আল–জাজিরা জানিয়েছে। গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করে এক বিবৃতি দিয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, নেতজারিম করিডর এলাকায় রাতে সেনারা ‘সতর্কতামূলক গুলি’ চালিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ