বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে ১২ ধরনের খাবার খাওয়া উচিত
Published: 17th, June 2025 GMT
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশি আর হাড় দুর্বল হতে শুরু করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তবে সঠিক খাবার নিয়মিত খেলে এসব পরিবর্তন ধীর করা সম্ভব। ফাইবার বা আঁশসমৃদ্ধ, চর্বিহীন প্রোটিন, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ, দুগ্ধজাত খাবার শরীর সুস্থ রাখে। এসব খাবার হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই বয়স যতই বাড়ুক, খাদ্যাভ্যাস ঠিক থাকলে জীবনও হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও স্বাস্থ্যকর।
ফাইবার বা আঁশ
ফাইবার যে শরীরের জন্য খুব উপকারী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলমূল, শাকসবজি, ওটমিল, বাদাম ও ডালজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের মধ্যে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে ফাইবার। এটি রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ৫১ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের প্রতিদিন ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২১ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুন১ মিনিটের এই সহজ পরীক্ষায় জেনে নিন আপনার শরীরের বয়স কত১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গোটা শস্য (হোল গ্রেইন)
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ফাইবার ও ভিটামিন বির প্রয়োজন আরও বেড়ে যায়, হোল গ্রেইন বা গোটা শস্যজাত খাবার (যেমন: লাল চাল, ওটস, গমের রুটি) এই প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি-৬ ও ফলেট (ফলিক অ্যাসিড) মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করার জন্য জরুরি। এসব ভিটামিনের ঘাটতিতে মনোযোগ বা স্মৃতিতে প্রভাব পড়তে পারে। গোটা শস্য খেলে হৃদ্রোগ, ক্যানসার আর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
বাদাম মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স হ য য কর
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে আত্মসমর্পণ করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি আজ মঙ্গলবার একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিফ প্রসিকিউটরের দাখিল করা ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) বিবেচনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অপরাধগুলো আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের এই বিষয় বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সত্ত্বেও তাঁরা পলাতক রয়েছেন বা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আত্মগোপন করেছেন। সে কারণে তাঁদের ২৪ জুন এই ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, এই প্রযুক্তির যুগে কোনো ব্যক্তি জানেন না, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে, এটি সাধারণত বিশ্বাসযোগ্য নয়। তারপরও আইনের প্রতিটি বিধান অনুসরণ করার উদ্দেশ্যে ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন।
আরও পড়ুনহাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ০১ জুন ২০২৫মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।