আবাদি জমিতে পুকুর খনন, রাস্তা রক্ষায় রায়গঞ্জে মানববন্ধন
Published: 18th, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাতকুর্শি গ্রামে চলাচলের রাস্তা রক্ষায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী নৈপাড়া গ্রামে আবাদি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ চলছে। প্রতিদিন সাতকুর্শি গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করে ড্রাম ট্রাকে মাটি পরিবহন করা হয়। ফলে এই গ্রামের রাস্তাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ধানকাটা মৌসুমে কৃষকেরা মাঠ থেকে ফসল ঘরে তুলতে, বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না।
গ্রামটির রাস্তাগুলো রক্ষা ও পাকাকরণের দাবি জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতকুর্শি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, রইচ উদ্দিন, আক্তার হোসেন, নজরুল ইসলাম আব্দুল খালেক, শাহ আলমসহ আরও অনেকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির প্রস্তাব বাতিল করে আশাশুনিকে স্বতন্ত্র নির্বাচনী আসন করার দাবিতে মানববন্ধন
আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাকে একীভূত করে সংসদীয় সাতক্ষীরা-৪ আসন করার প্রস্তাব বাতিল ও আশাশুনি উপজেলাকে স্বতন্ত্র আসন করার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাতক্ষীরার দুটি আসনসহ দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ জুলাই এ খসড়া প্রকাশ করা হয়। পুনর্বিন্যাস করার আগে আশাশুনি ছিল সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-৩ এর মধ্যে। আশাশুনির ১১টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলার পাঁচটি ও কালীগঞ্জ উপজেলার চারটিসহ মোট ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে ছিল সাতক্ষীরা-৩ আসন। পুনর্বিন্যাসের পর শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আশাশুনির ১১টি আসন নিয়ে সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-৪ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সোবহান, শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নুরুল আবছার মুরতাজা, আশাশুনি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি এ বি এম আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আশাশুনি চারটি ও শ্যামনগর তিনটি দ্বীপে বিভক্ত। যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক। আশাশুনির সঙ্গে শ্যামনগরের সড়কপথে সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। আশাশুনি থেকে শ্যামনগর যেতে হলে কালীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়। না হলে নদী পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। নদীর ওপর নেই কোনো সেতু। বিচ্ছিন্ন ও দূরবর্তী দুটি উপজেলা নিয়ে আসনবিন্যাস অকল্পনীয়। জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করলে আশাশুনিকে কখনো শ্যামনগরের সঙ্গে একীভূত করা যায় না। আশাশুনিকে স্বতন্ত্র আসন না করা হলে আশাশুনির ভোটাররা ভোট বর্জন করবেন এমন প্রচার পাড়া–মহল্লায় শোনা যাচ্ছে দাবি করে ন্যায্য জনদাবির প্রতি সমর্থনের জোর আবেদন জানানো হয়।
বক্তারা অবিলম্বে আশাশুনিকে সাতক্ষীরা-৪ আসনে একীভূত করার প্রস্তাব বাতিল করার দাবির পাশাপাশি আশাশুনি ২০০৮ সালের আগে যে স্বতন্ত্র আসন ছিল, তা বহাল করার দাবি জানান।