Prothomalo:
2025-09-21@11:33:34 GMT

কাঁঠাল কেন আমাদের জাতীয় ফল

Published: 21st, June 2025 GMT

শতাধিক রকমের ফল আছে বাংলাদেশে। এগুলোর মধ্যে কাঁঠাল কেন জাতীয় ফল হলো?

বিশ্বে দুটি দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল—বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার এবং তিনটি দেশের জাতীয় ফল আম—পাকিস্তান, ভারত ও ফিলিপাইনের। যে ফলের জন্ম যে দেশে, সে দেশই সে ফলের জন্মস্বত্ব দাবি করে তাকে জাতীয় ফল ঘোষণা করতে পারে। যদি তা করা হতো, তাহলে কাঁঠাল না হয়ে আমই হতো আমাদের জাতীয় ফল আর কাঁঠাল হতো ভারতের। কেননা আমের জন্মভূমি বা আদিনিবাস বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এবং কাঁঠাল জন্মেছে ভারতের ওয়েস্টার্ন ঘাটে বা পশ্চিম ঘাট পর্বতমালার অরণ্যে, সেখানে কাঁঠাল এখনো বন্যরূপে জন্মায়, সেসব অরণ্যে রয়েছে কাঁঠালের বহু বুনো জাত। সেদিক থেকে ভারতই কাঁঠালকে জাতীয় ফল করার প্রথম দাবিদার। তবে ভারত সে দাবি একেবারে পরিত্যাগ করেনি, কাঁঠালকে করেছে কেরালা ও তামিলনাড়ুর রাজ্য ফল।

কাঁঠালকে আমাদের জাতীয় ফল করার প্রধান কারণ দুটি। প্রথম কারণ হলো, কাঁঠাল চেনে না এমন লোক এ দেশে নেই, কাঁঠাল পাওয়া যায় না এমন জায়গায়ও নেই। এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় ফল। সহজলভ্য ও জনপ্রিয়তার কারণেই এটি আমাদের জাতীয় ফল। দ্বিতীয় কারণ হলো, কাঁঠালের আদিনিবাস এ অঞ্চল তথা ভারতবর্ষ। এ ছাড়া কাঁঠাল বাংলাদেশের মানুষদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। অনেক অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ, উৎসব, সাহিত্য ইত্যাদির সঙ্গে জড়িয়ে আছে কাঁঠাল। প্রাচীনকালে খনার বচনেও কাঁঠালের উল্লেখ পাওয়া যায়, ‘আমের বছর বান/কাঁঠালের বছর ধান।’

রসালো পাকা কাঁঠাল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় খাইরুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শিক্ষকের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ধুনটে প্রবাসী নারীকে ধর্ষণ, প্রেমিক কারাগারে

দণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বুজরুকগড়গড়ি মাদ্রাসাপাড়ার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজ মোড় হয়ে বাড়ি ফিরছিল সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী। এ সময় কৌশলে স্কুলছাত্রীকে একটি অটোরিকশায় তুলে নেন খাইরুল। পরে পৌর এলাকার সুমিরদিয়ায় একটি বাঁশবাগানে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, ‘‘দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনার পর আদালত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় খাইরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ