গাজীপুরের শ্রীপুর কান্নার শব্দ পেয়ে ঝোপের ভেতর থেকে কাপড়ে মোড়ানো এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সকালে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামের ভাসাবাইদ এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল ইফরান জানান, আজ সকালে মোটরসাইকেলে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে কয়েকজনের চিৎকারে ঘটনাস্থলে যান তিনি। ঝোপের মধ্যে তিনি একটি নবজাতক পড়ে থাকতে দেখতে পান। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নবজাতকটিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.

সোহাগ জানান, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিকেলের দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

পুলিশ জনগণের শাসক নয়, সেবক: সিএমপি কমিশনার

রৌমারীতে সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু

স্থানীয় বাসিন্দা সানজিদা লিজা জানান, খবর পেয়ে তিনি ছুটে গিয়ে নবজাতকটিকে কোলে তুলে নেন ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন, “শিশুটির অবস্থা করুণ ছিল, কিন্তু তার প্রাণে বেঁচে যাওয়া ছিল অলৌকিক।”

সন্তান না থাকায় উদ্ধার হওয়া নবজাতক লালনপালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী এমন খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যায়। সন্তান না থাকায় আমরা এই শিশুটিকে নিজের সন্তানের মতো করে লালন করতে চাই।”

শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন জানান, চিকিৎসক কাছ থেকে অবহিত হওয়ার পর শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শ্রীপুর থানার ওসি মো. আব্দুল বারিক জানান, বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। নবজাতকটি বর্তমানে হাসপাতাল পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’

ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় দায়িত্ব হস্তান্তর করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ সাকির হোসেন।

এর আগে ৩১ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) আ. কুদদুসের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে রোববার বিকেলের আগে উপাধ্যক্ষকে অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। আমান উল্লাহকে ২০২১ সালের ৮ আগস্ট অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। তিনি একই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করে আসছিলেন।

গতকাল বিকেলে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কমিটি স্থগিত) নেতারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। তাঁদের একজন আনোয়ার হোসেন (যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক) দাবি করেন, ‘সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন।’ তাঁরা লিখিতভাবে সচিবালয়ে ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

আমান উল্লাহকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টার দিকে আমি দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি। কলেজে যেন সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারি, এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহ কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
  • এক দিন রিকশা চালান, আরেক দিন কারুপণ্য বানান ময়মনসিংহের জাহাঙ্গীর
  • বৃষ্টির দাপট চলবে আরো কয়েকদিন, কমবে পরের সপ্তাহে
  • চার জেলায় বন্যার সতর্কতা
  • আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’