হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন স্ত্রী রিয়া মনি ও তাঁর বন্ধু
Published: 22nd, June 2025 GMT
কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী রিয়া মনি ও তাঁর বন্ধু কামরুল ইসলাম। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার এ আদেশ দেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হাতিরঝিল থানায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার রিয়া মনি ও তাঁর বন্ধুকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তানছির বিল্লাহ আদালতকে লিখিতভাবে জানান, গতকাল শনিবার হাতিরঝিলের একটি বাসায় যান হিরো আলম। রিয়া মনি হিরো আলমের তৃতীয় স্ত্রী। ওই বাসায় রিয়া মনি ও কামরুল ইসলামকে একসঙ্গে দেখতে পান। একসঙ্গে থাকার কারণ জানতে চাইলে হিরো আলমকে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন রিয়া মনি। একপর্যায়ে কামরুলও হিরো আলমের মাথায় আঘাত করেন।
অবশ্য রিয়া মনি ও তাঁর বন্ধু কামরুলের পক্ষে আদালতে দাবি করা হয়েছে তাঁরা হয়রানির শিকার।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
যাঁদের টানে দেশে ফিরলেন, তাঁদেরই কবরে শোয়ালেন বাহার
ওমানপ্রবাসী আবদুল বাহার স্বজনদের সঙ্গে ফিরছিলেন বাড়িতে। মা, স্ত্রী, মেয়ে, নানি, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইয়ের মেয়ে সবাই ছিলেন সঙ্গে। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িতে অনেক হাসিঠাট্টা, খুনসুটি চলছিল। কিন্তু কে জানত মুহূর্তেই এই আনন্দের পরিবেশ পরিণত হবে বিষাদে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামে এসে পৌঁছায় বাহারের নানি ফয়জুন নেসা (৮০), মা খুরশিদা বেগম (৫৫), স্ত্রী কবিতা বেগম (৩০), মেয়ে মীম আক্তার (২), ভাতিজি রেশমি আক্তার (১০), ভাবি লাবনী বেগম (৩০) এবং লাবনীর মেয়ে লামিয়া আক্তারের (৯) মরদেহ।
ওমান থেকে দেশে ফেরা আবদুল বাহারকে আনতে ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেশে ফেরা আনন্দে শেষতক নেমে এল মৃত্যুর ছায়া। গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর এলাকায় বাড়ি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি একটি খালে পড়ে। বাহার ছাড়া পরিবারের কেউই ফিরে আসেননি।
গতকাল সকালে বাহারদের বাড়ির ছোট উঠানজুড়ে সারি সারি সাতটি লাশ এনে রাখা হয়। খবর পেয়ে সকালেই লোকজন জড়ো হয়েছেন। শেষযাত্রার কিছু আয়োজনও সম্পন্ন হয়েছে। এক পাশে গোসলের জন্য টানানো হয়েছে শামিয়ানা। উঠানে পাতা হয়েছে চেয়ার। সবকিছুর মধ্যে নিদারুণ এক শোকের বার্তা।
যাঁদের জন্য প্রবাস থেকে ফেরা, তাঁদেরই কবরে শোয়ালেন বাহার। দুই বছরের মেয়ে মীমকে ভালো করে একটু বুকে জড়িয়ে আদরও করা হলো না। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একসঙ্গে জানাজা হয় ছয়জনের। বাহারের নানি ফয়জুন নেসার লাশ নেওয়া হয় পাশের ইউনিয়ন হাজির পাড়ায়। বাকিদের দাফন হয় জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামে।
পারিবারিক কবরস্থানে এক সারিতে দুটো কবর, সামান্য দূরেই চারটি। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেখানেই একে একে মা খুরশিদা বেগম, স্ত্রী কবিতা, মেয়ে মীমসহ নিহত স্বজনদের শুয়ে দেন বাহার।
চৌপল্লী গ্রামে মানুষের ভিড়। এত মৃত্যু একসঙ্গে আর দেখেনি কেউ। শোকে স্তব্ধ গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল বিকেলে