মহেশ বাবুকে দেখে কেন অপরাধবোধে ভুগতেন তৃষা?
Published: 23rd, June 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা শিল্পী মহেশ বাবু ও তৃষা কৃষ্ণান। আলাদা আলাদাভাবে তারা যেমন ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন, তেমনি জুটি বেঁধেও অভিনয় করেছেন। ‘আতাডু’, ‘সাইনিকুডু’, ‘খিলাড়ি ভাইয়া’-এর মতো সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন এই যুগল।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে থেকেই মহেশ বাবু ও তৃষা কৃষ্ণান পরস্পরকে চিনেন। ইন্ডিয়া গ্লিটজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃষা কৃষ্ণান বলেন, “অনেকেই জানেন না, মহেশ বাবুকে অনেক দিন ধরে চিনি। সে যখন চেন্নাইয়ে কলেজে পড়ে, তখন আমরা কমন ফ্রেন্ড ছিলাম। সেখানেই আমাদের প্রথম দেখা। আমাদের ‘হাই-বাই’ এর বন্ধুত্ব ছিল। আমরা কেউই জানতাম না, কখনো একসঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করব।”
মহেশ বাবু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পরিশ্রমী একজন অভিনেতা। তার আত্মত্যাগ দেখে অপরাধবোধে ভুগতেন তৃষা। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “মহেশ কঠোর পরিশ্রমী। সে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সেটে থাকত। তার নিষ্ঠা দেখে আমার অপরাধবোধ হতো। এমনকি সে তার ক্যারাভানেও যেত না। সে মনিটরের সামনে বসে প্রতিটি দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করত, তার সঙ্গে আমিও থাকতাম।”
মহেশ বাবু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এটি পরিচালনা করেন ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা।
মহেশ বাবুর পরবর্তী সিনেমা পরিচালনা করছেন এস এস রাজামৌলি। আপাতত সিনেমাটির নাম রাখা হয়েছে ‘এসএসএমবি২৯’। আন্তর্জাতিক অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা এটি। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি রুপির বেশি। সিনেমাটি ২০২৭ সালে মুক্তির কথা রয়েছে।
তৃষা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘থাগ লাইফ’। গত ৫ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটিতে ৩০ বছরের বড় কমল হাসানের সঙ্গে রোমান্স করে দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন তৃষা। বর্তমানে তৃষার হাতে দুটো সিনেমার কাজ রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাঁদের টানে দেশে ফিরলেন, তাঁদেরই কবরে শোয়ালেন বাহার
ওমানপ্রবাসী আবদুল বাহার স্বজনদের সঙ্গে ফিরছিলেন বাড়িতে। মা, স্ত্রী, মেয়ে, নানি, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইয়ের মেয়ে সবাই ছিলেন সঙ্গে। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িতে অনেক হাসিঠাট্টা, খুনসুটি চলছিল। কিন্তু কে জানত মুহূর্তেই এই আনন্দের পরিবেশ পরিণত হবে বিষাদে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামে এসে পৌঁছায় বাহারের নানি ফয়জুন নেসা (৮০), মা খুরশিদা বেগম (৫৫), স্ত্রী কবিতা বেগম (৩০), মেয়ে মীম আক্তার (২), ভাতিজি রেশমি আক্তার (১০), ভাবি লাবনী বেগম (৩০) এবং লাবনীর মেয়ে লামিয়া আক্তারের (৯) মরদেহ।
ওমান থেকে দেশে ফেরা আবদুল বাহারকে আনতে ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেশে ফেরা আনন্দে শেষতক নেমে এল মৃত্যুর ছায়া। গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর এলাকায় বাড়ি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি একটি খালে পড়ে। বাহার ছাড়া পরিবারের কেউই ফিরে আসেননি।
গতকাল সকালে বাহারদের বাড়ির ছোট উঠানজুড়ে সারি সারি সাতটি লাশ এনে রাখা হয়। খবর পেয়ে সকালেই লোকজন জড়ো হয়েছেন। শেষযাত্রার কিছু আয়োজনও সম্পন্ন হয়েছে। এক পাশে গোসলের জন্য টানানো হয়েছে শামিয়ানা। উঠানে পাতা হয়েছে চেয়ার। সবকিছুর মধ্যে নিদারুণ এক শোকের বার্তা।
যাঁদের জন্য প্রবাস থেকে ফেরা, তাঁদেরই কবরে শোয়ালেন বাহার। দুই বছরের মেয়ে মীমকে ভালো করে একটু বুকে জড়িয়ে আদরও করা হলো না। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একসঙ্গে জানাজা হয় ছয়জনের। বাহারের নানি ফয়জুন নেসার লাশ নেওয়া হয় পাশের ইউনিয়ন হাজির পাড়ায়। বাকিদের দাফন হয় জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামে।
পারিবারিক কবরস্থানে এক সারিতে দুটো কবর, সামান্য দূরেই চারটি। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেখানেই একে একে মা খুরশিদা বেগম, স্ত্রী কবিতা, মেয়ে মীমসহ নিহত স্বজনদের শুয়ে দেন বাহার।
চৌপল্লী গ্রামে মানুষের ভিড়। এত মৃত্যু একসঙ্গে আর দেখেনি কেউ। শোকে স্তব্ধ গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল বিকেলে