Prothomalo:
2025-08-10@05:09:06 GMT

যুদ্ধবিরতিতে ইরান–ইসরায়েল

Published: 25th, June 2025 GMT

টানা ১২ দিন তীব্র পাল্টাপাল্টি হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ। যদিও যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগে একে অপরের ওপর হামলা চালিয়েছে ইরান ও ইসরায়েল।

১৩ জুন থেকে ইরানে ইসরায়েলের হামলা; জবাবে পরদিন থেকে ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা; এই সংঘাতের মধ্যে ২১ জুন ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা; জবাবে এক দিন পর ২৩ জুন কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলা—১২ দিন চলমান এমন সংকটের মধ্যে হঠাৎ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে এই সংঘাতে ইরানে সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা-সদস্য, পরমাণুবিজ্ঞানী, বেসামরিক নাগরিকসহ ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের হামলায় দেশটির বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক-বেসামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপর দিকে ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যমের হিসাবে, ইরানের হামলায় দেশটিতে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কার্যালয়সহ দেশটির বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে তেহরান।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ঘোষণা আসে ট্রাম্পের কাছ থেকে। ২৩ জুন রাতে কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি জানান, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। যুদ্ধবিরতির একটি সময়ক্রমও উল্লেখ করেন তিনি। তাতে বলা হয়, প্রথমে ইরান ও পরে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে।

সে হিসাবে ইরানের স্থানীয় সময় গতকাল সকাল সাড়ে সাতটা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু করার কথা ছিল তেহরানের। সকালে যুদ্ধবিরতি শুরুর কথাও জানিয়েছিল ইরানের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি। এরপর ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘জায়নবাদী’ শত্রু ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ বিরতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, ইরান যুদ্ধবিরতি শুরুর ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার কথা ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর। তবে ইরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইরানে ইসরায়েলের ‘সব লক্ষ্য’ অর্জন হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানায় তাঁর কার্যালয়।

অবশ্য ইরানে ইসরায়েল নিজেদের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন তেহরানভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মিডল ইস্ট স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক আবাস আসলানি। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, এই সংঘাতে ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা এবং দেশটিতে সরকার পরিবর্তন করা। ইরানে পরমাণু স্থাপনায় হামলা হলেও সেগুলো আগে থেকেই খালি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সরকারও পরিবর্তন হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি যদি শেষ পর্যন্ত টিকে যায়, তাহলে বলা চলে ইসরায়েল তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগে ব্যাপক হামলা

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালায় ইরান। গতকাল ইরানের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সময়ের আগে ও কিছুটা পরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে নিরাপদে থাকতে ছয়বার সতর্কবার্তা জারি করে ইসরায়েল। দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বাজতে থাকে সাইরেন। তেল আবিব থেকে শোনা যায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। একটি ভিডিওতে দক্ষিণ ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে দেখা যায়।

এই দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ইসরায়েলের বিরশেবা শহর। ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থার প্রধান এলি বিন বলেন, হামলায় বিরশেবার তিনটি ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন। নিহত হয়েছেন চারজন। এ নিয়ে ইসরায়েলে গতকাল পর্যন্ত ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম।

ইসরায়েলের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির সময় শুরু হওয়ার পরও হামলা চালায় ইরান। এর ‘শক্তিশালী জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তবে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি শুরুর কয়েক মিনিট আগে ওই হামলা চালানো হয়েছিল। যুদ্ধবিরতির সময় শুরুর পর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলে পৌঁছায়।

সকাল সাড়ে সাতটায় ইরান যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে ইসরায়েলও তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়। গতকাল ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা জাফরগানি বলেন, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ১০৭ জন। তাঁদের মধ্যে একজন পরমাণুবিজ্ঞানী রয়েছেন। আর ১২ দিনের সংঘাতে ইরানে মোট নিহত হয়েছেন ৬০৬ জন। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজার জনের বেশি।

ইরান যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দেশটিতে হামলা চালায় ইসরায়েলও। গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে তেহরানসহ ইরানের একাধিক এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ট্রাম্পের। ওই আলাপের পর আরও হামলা চালানো থেকে বিরত থাকতে রাজি হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে ট্রাম্পের ক্ষোভ

যুদ্ধবিরতির সময় শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল ও ইরান—দুই দেশই তা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। গতকাল নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে খুশি নন। বিশেষ করে ইসরায়েলের ওপর। কারণ, যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর তারা হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলকে নিয়ে ট্রুথ সোশ্যালেও একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল, এই বোমাগুলো আপনারা (ইরানে) ফেলবেন না। যদি আপনারা এটি করেন, তাহলে তা হবে যুদ্ধবিরতির বড় লঙ্ঘন। এখনই আপনাদের পাইলটদের দেশে ফিরিয়ে আনুন।’

যেভাবে হলো যুদ্ধবিরতি আলোচনা

২৩ জুন রাতে কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে যখন ইরান হামলা চালায়, তখন হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুমে’ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ছিলেন ট্রাম্প। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রুথ সোশ্যালে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তাঁর ঘোষণার ৬ ঘণ্টা পর ইরান প্রথম যুদ্ধবিরতি শুরু করবে। এর ১২ ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি শুরু করবে ইসরায়েল। এক পক্ষের যুদ্ধবিরতির সময় অন্য পক্ষ এর প্রতি সম্মান জানাবে। এভাবে মোট ২৪ ঘণ্টা পর ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ শেষ হবে।

হোয়াইট হাউসের বরাতে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে নেতানিয়াহুকে রাজি করানোর জন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। নেতানিয়াহু রাজি হওয়ার পর তিনি ফোন করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে। অনুরোধ করেন, যুদ্ধবিরতিতে ইরানকে রাজি করানোর জন্য। কাতারের আহ্বানে রাজি হয় তেহরান। এ সময় ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও।

‘আমরা খুব খুশি’

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দুই দেশের মানুষ। যুদ্ধবিরতির খবর পেয়ে ইরানের রাশত এলাকা থেকে তেহরানে ফিরছিলেন রেজা শরিফি নামের এক ব্যক্তি। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব খুশি। যে–ই মধ্যস্থতা করুন না কেন, তা কোনো বিষয় নয়। যুদ্ধ শেষ হয়েছে, সেটিই আসল বিষয়।’ আর তেল আবিবের বাসিন্দা আরিক দাইমান্ত বলেন, ‘আমি আশা করি এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে নতুন দিনের সূচনা হবে।’

যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দেশও। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘সত্যিকারের একটি যুদ্ধবিরতির’ আশা করছে বেইজিং। এই যুদ্ধবিরতি যেন টেকসই হয়, সে আশা প্রকাশ করেছে রাশিয়াও। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানান তাঁরা।

যুদ্ধবিরতির পর পরমাণু প্রকল্প নিয়ে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান কাজা কালাস বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি যেন মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি মোড় বদল হয়, সে আশা করছেন তিনি।

হরমুজ প্রণালি নিয়ে স্বস্তি ফিরল

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর হরমুজ প্রণালি দিয়ে জাহাজ চলাচল নিয়ে বড় শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এই প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছিল ইরানের পার্লামেন্ট। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কার্যকরে শুধু প্রয়োজন ছিল ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সায়। এমন উত্তেজনার মধ্যে ২৩ জুন হরমুজ প্রণালির পথ এড়িয়ে যায় অন্তত পাঁচটি জাহাজ।

হরমুজ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের ২০ শতাংশ জ্বালানি পরিবহন করা হয়। গতকাল যুদ্ধবিরতির পর এএফপি জানায়, প্রণালিটি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তেহরান। নরওয়েভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিস্টাড এনার্জির গবেষক জর্জ লিওন এএফপিকে বলেন, ‘আমি মনে করি, হরমুজ প্রণালি বন্ধের ঝুঁকি এখন দ্রুত কমে এসেছে। কারণ, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।’

পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সমস্যা সমাধানের আহ্বান

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের দ্বন্দ্বের শুরু ১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে। ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে অনেক আগে থেকে দেশ দুটির আপত্তি রয়েছে। ইসরায়েলের অভিযোগ, প্রকল্পগুলোর শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের কথা বলে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে তেহরান। সেই অভিযোগ থেকে ১৩ জুন ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলের হামলার মধ্যে জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতিত্বের’ অভিযোগ এনেছিল তেহরান। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি) থেকে ইরান বের হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফোয়াদ ইজাদি। এই চুক্তির একটি শর্ত অনুযায়ী স্বাক্ষরকারী দেশগুলো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না।

গতকাল যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামি এক বিবৃতিতে বলেন, নিজেদের পরমাণু প্রকল্পগুলোয় ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে দেখছেন তাঁরা। এগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর কার্যক্রমে যেন ভবিষ্যতে আর বাধা না আসে, সে বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে তাঁদের।

তবে যুদ্ধবিরতির পর বিভিন্ন দেশসহ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাও ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইরানে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর ওই আলোচনা স্থগিত করেছিল তেহরান। তবে ওই আলোচনা আবার শুরুর কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। গতকাল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত আছে তেহরান। তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, ইসরায়েল হামলা না চালালে আগ বাড়িয়ে হামলা চালাবে না তেহরান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র এক ব ব ত ত পরর ষ ট র হওয় র পর শ র র পর র আহ ব ন র পরম ণ ক র যকর প রকল প ২৩ জ ন মন ত র ১২ দ ন দ শট ত ত র পর দ শট র র জন য বন ধ র লক ষ য গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১টি দোকান ও একটি কারখানা

নোয়াখালীর সেনবাগে একটি কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, গোডাউনসহ অন্তত ১১টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১টার দিকে উপজেলার সেবারহাট বাজারে ঘটনাটি ঘটে। 

ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ, চৌমুহনী ও মাইজদীর পাঁচটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১টার দিকে সেবারহাটে একটি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন আশপাশের ১১টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

আরো পড়ুন:

নেত্রকোণার ধলাই নদীতে বাল্কহেড ডুবে ২ শ্রমিক নিখোঁজ

মানিকগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানার আগুন, ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি

আগুনে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, মেশিনারিজ সামগ্রী, থাই অ্যালুমিনিয়াম পণ্য বিক্রির দোকানসহ অন্তত ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  

সেনবাগ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো.সাব্বির হোসেন বলেন, ‍“পাঁচটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতি ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।” 

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ