৩ দাবিতে আবারো রাস্তায় রুয়েট শিক্ষার্থীরা
Published: 8th, November 2025 GMT
প্রকৌশলীদের তিন দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রকৌশল খাতের সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার কমিটি গঠনের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আবারো আন্দোলন শুরু করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রুয়েট সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পার্শবর্তী তালাইমারি মোড়ে সমাবেশ করেন তারা।
আরো পড়ুন:
নিজস্ব পরিবহন নিশ্চিতের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কারিগরি শিক্ষা নিয়ে কেউ বেকার থাকে না: মহাপরিচালক
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘১ ২ ৩ ৪, ডিপ্লোমা কোটা ছাড়’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, প্রকৌশল খাতের সংস্কার’, ‘প্রকৌশলের সকল পদ, প্রকৌশলীদের অধিকার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলিয়ে আসছেন তারা। সরকার একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বাস্তব কোনো সমাধান আসেনি। গত ২৭ আগস্ট রাজধানীতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের লংমার্চ চলাকালে পুলিশের হামলার মুখেও দাবি আদায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেনি।
চাপের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমে উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরকে প্রধান করে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে। কমিটি ১ মাসের মধ্যে সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
তাদের অভিযোগ, নতুন কমিটির কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম বা অগ্রগতি নেই। সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে এবং প্রকৌশলীদের দাবি উপেক্ষা করে পরিস্থিতি লঘু করার কৌশল নিচ্ছে। এ অবস্থায় পূর্বের ওয়ার্কিং কমিটির সুপারিশ প্রকাশের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিহাব হোসেন বলেন, “প্রকৌশলীদের দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে। অযৌক্তিক বৈষম্য দূর করতে এবং পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় প্রণীত সুপারিশ দ্রুত কার্যকর করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে, কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেয়া যাবে না; টেকনিক্যাল দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে; ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়
কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি বিশ্বব্যাপী সমীক্ষার বরাত দিয়ে শনিবার প্রেস ট্রাস্প অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৮০ লাখ। একই সময়ে, যেখানে চীনের পরে ১৫ কোটি ২০ লাখ।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অন্যান্য ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে এই রোগটি মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল। একই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কিডনি রোগে মারা গেছে।
উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এই দুই অঞ্চলে ১৮ শতাংশ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১৬ শতাংশ এবং সাব-সাহারান আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর প্রায় ১২ শতাংশের জন্য দায়ী। ডায়াবেটিস ও স্থূলতার পরে এটি হৃদরোগজনিত মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ হিসাবে স্থান পেয়েছে।
গবেষণায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের জন্য ১৪টি ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের সিনিয়র লেখক ও আইএইচএমই এর ইমেরিটাস অধ্যাপক থিও ভোস বলেছেন, “দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ স্বাস্থ্য ক্ষতির অন্যান্য প্রধান কারণগুলোর জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ এবং এটি নিজেই একটি উল্লেখযোগ্য রোগের বোঝা। তবুও, অন্যান্য অ-সংক্রামক রোগের তুলনায় এটি এখনো অনেক কম নীতিগত মনোযোগ পাচ্ছে, যদিও এর প্রভাব ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য বৈষম্যের মুখোমুখি অঞ্চলগুলিতে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
ঢাকা/শাহেদ