এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির মধ্যে চলা বিবাদ কি শেষমেশ মিটতে যাচ্ছে? বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়ার ইঙ্গিত অন্তত সেদিকেই।

গতকাল দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভায় যোগ দেন সাইকিয়া। বৈঠকের পর ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘বিসিসিআই ও পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে চলা বিবাদ বন্ধুত্বপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি আইসিসির আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক দুই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলাম। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিও ছিলেন সেখানে।’

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ন ভারত নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেয়নি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান হিসেবে ট্রফি দেওয়ার এখতিয়ার তাঁরই—এটা জানিয়ে নাকভি তখন ট্রফি নিজের কাছেই রেখে দেন। এরপর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ভারত ট্রফি পায়নি। নাকভিও তা ফেরত দেননি। এ নিয়েই বিসিসিআই জানিয়েছিল, আইসিসি বোর্ড সভায় বিষয়টি তোলা হবে।

সেই বৈঠকের প্রসঙ্গে সাইকিয়া বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে এশিয়া কাপ ট্রফির বিষয়টি ছিল না। তবে আইসিসি তাদের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমার ও পিসিবি প্রধানের মধ্যে আলাদা করে এক বৈঠকের ব্যবস্থা করে।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ওই দুই কর্মকর্তার একজন আইসিসির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজা, অন্যজন প্রধান নির্বাহী সংযোগ গুপ্ত। পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিসিসিআই সচিব বলেন, ‘আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করা সত্যিই ভালো ছিল। উভয় পক্ষই আন্তরিকভাবে বৈঠকে অংশ নেয়, যা আইসিসি বোর্ড সভার ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

বিসিসিআই সচিব আরও জানান, দ্রুতই সমাধান বের করা হবে। ভারতের কাছে এশিয়া কাপের ট্রফি পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে। সাইকিয়ার ভাষায়, ‘উভয় পক্ষই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যাটি সমাধানের জন্য কিছু একটা কাজ করবে। বরফ এখন গলে গেছে, তাই বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে কাজ করা হবে। অন্য পক্ষের থেকেও বিকল্প থাকবে, এবং এই সমস্যাটি নিষ্পত্তি করে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানে আসার জন্য আমরাও বিকল্প দেব।’

শেষমেশ দেখা যাক, বরফটা সত্যিই গলল, নাকি আবার নতুন কোনো ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হলো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়

কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি বিশ্বব্যাপী সমীক্ষার বরাত দিয়ে শনিবার প্রেস ট্রাস্প অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৮০ লাখ। একই সময়ে, যেখানে চীনের পরে ১৫ কোটি ২০ লাখ।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অন্যান্য ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে এই রোগটি মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল। একই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কিডনি রোগে মারা গেছে।

উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এই দুই অঞ্চলে ১৮ শতাংশ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১৬ শতাংশ এবং সাব-সাহারান আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর প্রায় ১২ শতাংশের জন্য দায়ী। ডায়াবেটিস ও স্থূলতার পরে এটি হৃদরোগজনিত মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ হিসাবে স্থান পেয়েছে।

গবেষণায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের জন্য ১৪টি ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনের সিনিয়র লেখক ও আইএইচএমই এর ইমেরিটাস অধ্যাপক থিও ভোস বলেছেন, “দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ স্বাস্থ্য ক্ষতির অন্যান্য প্রধান কারণগুলোর জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ এবং এটি নিজেই একটি উল্লেখযোগ্য রোগের বোঝা। তবুও, অন্যান্য অ-সংক্রামক রোগের তুলনায় এটি এখনো অনেক কম নীতিগত মনোযোগ পাচ্ছে, যদিও এর প্রভাব ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য বৈষম্যের মুখোমুখি অঞ্চলগুলিতে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ