ঘোরাঘুরি-ছোটাছুটি আমার এক গভীর ভালো লাগার জায়গা। পড়াশোনা গোল্লায় গেল কি শিকেয় উঠল, না ভেবেই ছোটবেলা থেকে এসবে আমার টান। আর এই ভালোবাসার পালে হাওয়া লাগাত প্রিয় কিছু পত্রিকা-ম্যাগাজিন, তারই একটি প্রথম আলো।

প্রতি সপ্তাহের শনিবার ‘ছুটির দিনে’র পাতায় নানা কিসিমের মানুষের গল্প আর অচেনা গন্তব্য যেন আমাকে নতুন এক জগতে নিয়ে যেত। মনে হতো, আমি যেন সেই লেখকের সঙ্গেই ঘুরে আসছি পাহাড়, সমুদ্র কিংবা কোনো ঐতিহাসিক প্রান্ত। এই ক্রোড়পত্রটির বিভিন্ন সংখ্যার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি।

কৈশোরের সেই প্রিয় ক্রোড়পত্র এখন আমারই অভিযানের সহযোগী! আমার এবারের অভিযানের নাম ‘তিস্তা থেকে টেকনাফ’। নীলফামারীর ডোমার উপজেলা থেকে কায়াক চালিয়ে যমুনা, পদ্মা, মেঘনা ও বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে যাব। গত ১৮ অক্টোবর তিস্তায় কায়াকিং শুরু করে আজ ২০তম দিনে আছি পদ্মা নদীতে, ঢাকার দোহারের মৈনটঘাট এলাকায়। এভাবেই এগোতে থাকব।

গত জুনে উত্তাল পদ্মায় কায়াক চালিয়েছেন ইনতিয়াজ মাহমুদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়

কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি বিশ্বব্যাপী সমীক্ষার বরাত দিয়ে শনিবার প্রেস ট্রাস্প অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৮০ লাখ। একই সময়ে, যেখানে চীনের পরে ১৫ কোটি ২০ লাখ।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অন্যান্য ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে এই রোগটি মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল। একই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কিডনি রোগে মারা গেছে।

উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এই দুই অঞ্চলে ১৮ শতাংশ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১৬ শতাংশ এবং সাব-সাহারান আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর প্রায় ১২ শতাংশের জন্য দায়ী। ডায়াবেটিস ও স্থূলতার পরে এটি হৃদরোগজনিত মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ হিসাবে স্থান পেয়েছে।

গবেষণায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের জন্য ১৪টি ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনের সিনিয়র লেখক ও আইএইচএমই এর ইমেরিটাস অধ্যাপক থিও ভোস বলেছেন, “দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ স্বাস্থ্য ক্ষতির অন্যান্য প্রধান কারণগুলোর জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ এবং এটি নিজেই একটি উল্লেখযোগ্য রোগের বোঝা। তবুও, অন্যান্য অ-সংক্রামক রোগের তুলনায় এটি এখনো অনেক কম নীতিগত মনোযোগ পাচ্ছে, যদিও এর প্রভাব ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য বৈষম্যের মুখোমুখি অঞ্চলগুলিতে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ