৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন কণ্ঠশিল্পী কনা
Published: 26th, June 2025 GMT
দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়ে তিনি যেমন স্থান করে নিয়েছেন সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে, তেমনি ব্যক্তিজীবনেও ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে এবার এক ভিন্ন কারণে শিরোনামে এলেন এই সংগীতশিল্পী।
দীর্ঘ ছয় বছরের বৈবাহিক জীবনের ইতি ঘটেছে কনার। বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।
সেখানে কনা লেখেন, “আমি আপনাদের ভালোবাসার কনা। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—সবই আল্লাহর ইচ্ছা। তেমনি, যেকোনো বিচ্ছেদও হয় তাঁরই ইশারায়।”
তিনি জানান, "আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী এবং প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি, দীর্ঘ ছয় বছরের বিবাহিত জীবনের পর আমি এবং গোলাম মোহাম্মাদ ইফতেখার গহিন গত ১৬ জুন ২০২৫ তারিখে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছি। এটি আমাদের দুজনের জন্যই একটি অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে পারস্পরিক সম্মান এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমেই আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।”
দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি হলেও, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কনা। তিনি আরও লেখেন, “আমরা একে অপরের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল থাকব। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে আমরা যেন শান্তি ও সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি, সেই প্রার্থনা করছি।”
পোস্টের শেষে কনা তার ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে লেখেন, “এই মুহূর্তে আমি আমার গানের কাজে মনোনিবেশ করতে চাই—সেই কাজের মাধ্যমেই আমি এতোদূর পর্যন্ত এসেছি। আশা করি আপনারা আমার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন এবং আগামীতেও আমাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় আগলে রাখবেন। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
উল্লেখ্য, ব্যক্তিজীবনে বেশ নীরব থাকলেও, কনা সবসময় তার গানের মাধ্যমেই ছিলেন সরব। এই কঠিন সময়ে সংগীতেই শান্তি খুঁজে ফিরছেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেই এসআই গ্রেপ্তার, কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে আজও বিক্ষোভ
খুলনায় পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবারও খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা আজও প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। সড়কে টায়ারে আগুন দিয়েছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। এর প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। আজ তাঁকে আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল। তাঁকে খুলনায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার। তিনি আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা সদর থানায় বিএনপি নেতা শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় সুকান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে নির্ধারিত বিধিবিধান অনুসরণ করতে হয়। এটা না হলে পরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। তাই কিছুটা সময় লেগেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় একটি মামলা হয়, যেখানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ ছাড়া বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ আরও দুটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এদিকে আজ বিকেল থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা পুলিশ কমিশনারের অপসারণের এক দফা দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা বলছেন, সুকান্তকে প্রথমে আটক করার পরও আইনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদেই তাঁরা আন্দোলন করছেন।
গতকাল বুধবারও সুকান্ত দাসকে গ্রেপ্তার ও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়েছিল। বিক্ষোভের প্রথম দিন গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেন। পরে রাত সাড়ে নয়টায় কেএমপির সদর দপ্তরের তালা খুলে পুলিশের কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসেন এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।