খুলনার রূপসা উপজেলায় এক মাদক কারবারির বাড়িতে প্রতিপক্ষ হামলা করেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের রাজাপুর পপুলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাব্বির শেখ (২৭) খুলনা নগরের শেখপাড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুলিবিদ্ধদের একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আরেকজন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন।

আহত সাদ্দাম নগরের সোনাডাঙ্গা থানার সোনার বাংলা গলির নুর ইসলামের ছেলে। পলাতক মিরাজ ওরফে কাউয়া মিরাজের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

এ বিষয়ে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে ৫–৭ জনের একটি সশস্ত্র দল রাজাপুর পপুলার এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে সাব্বির, সাদ্দামসহ আরও অনেকে ছিলেন। গোলাগুলির সময় একটি গুলি সাব্বিরের মাথার পেছন দিয়ে ঢুকে চোখ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। সাদ্দামের মাথার পেছনেও একটি গুলি লাগে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি গুলির খোসা, চারটি তাজা গুলি, কিছু ইয়াবা, মাদক সেবনের সরঞ্জাম ও গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ মাহফুজুর জানান, সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত সাদ্দামকে খুলনা থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। মিরাজ নগরের সাউথ সেন্ট্রাল রোডের একটি হাসপাতালে ভর্তি হলেও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে গেছেন।

থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ও আহত তিনজনই খুলনার আলোচিত মাদক সিন্ডিকেট ‘বি কোম্পানি’র সদস্য। নিহত সাব্বির ও পলাতক মিরাজ সিন্ডিকেটের শীর্ষ নেতা ‘গ্রেনেড বাবু’র ঘনিষ্ঠ। গত মাসে রূপসায় কালা রনি নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন সাব্বির। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পশুপাখিরা কী ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পায়?

হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে , ‘‘পশুপাখি  প্রাকৃতিক বিপদের লক্ষণ বুঝতে পারে। এর মধ্যে ভূমিকম্পও অন্তর্ভুক্ত।’’ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আভাস পেলে  পশুপাখিদের আচরণে অস্থিরতা প্রকাশ পায়। যেমন, কুকুর ঘেউ ঘেউ করে, পাখিরা উড়তে আরম্ভ করে, সাপেরা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০০৪ সালের সুনামির আগে ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপে হাতিরা উঁচু জায়গায় উঠে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘‘ভূমিকম্পে পৃথিবীর স্তর থেকে যে লো-ফ্রিকোয়েন্সি ইনফ্রাসাউন্ড এবং সিসমিক ওয়েভ উঠে আসে’’। এই ওয়েভের কিছু আভাস পশুপাখিরা বুঝলেও বুঝতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। 

আরো পড়ুন:

মৃত্যু বেড়ে ১০, বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা বিশেষজ্ঞের

ভূমিকম্পে ফাটল: রাবি শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের সরানো হচ্ছে

২০২৩ সালে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয়।  সেই ভূমিকম্পের প্রাক্কালে সংলগ্ন এলাকার পাখিদের আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। সেই মুহূর্তের পাখিদের অস্বাভাবিক আচরণের একটি ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা দেখলে মনে হতে পারে পাখিরা বোধহয় সত্যিই এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের আঁচ পেয়েছিল ।

অনেক লোককাহিনী ও ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে দাবি করা হয় যে, পাখি, পশু, মাছ সরীসৃপ এমনকি পতঙ্গরাও ভূমিকম্প, সুনামি, ঝড় বা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস পায়।। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলি এই ধারণাকে জোরালোভাবে সমর্থন করে না।

সূত্র: জি নিউজ 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ