সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
Published: 20th, November 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়সহ সব শাখা কার্যালয় থেকে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রিসহ পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই সেবা বন্ধের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, সদরঘাট, বরিশাল ও রংপুর কার্যালয় থেকে এই পাঁচ সেবা দেওয়া বন্ধ। সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড ছাড়া বন্ধ হওয়া সেবার তালিকায় আরও রয়েছে ছেঁড়াফাটা নোট বদল, সরকারি চালানের টাকা জমা দেওয়া ও চালানসংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান। এখন থেকে গ্রাহকদের এসব সেবা নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার ও ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এসব সেবা বন্ধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় না। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক–সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষকে এসব সেবা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে এ সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ১ ডিসেম্বর থেকে এই সেবা বন্ধের কথা বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শাখা কার্যালয় থেকে এ ধরনের সব সেবা বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে একাধিক সভার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন তার আগে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয় থেকে এসব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজই এসব সেবা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এসব স ব বন ধ র সব স ব
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল আইডি চালু করেছে অ্যাপল, এখন আইফোনে দেখানো যাবে পাসপোর্ট
অ্যাপল ওয়ালেটে পাসপোর্ট যুক্ত করার সুবিধা চালু করেছে অ্যাপল। নতুন ডিজিটাল আইডি ফিচারের মাধ্যমে আইফোন ও অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারকারীরা এখন তাঁদের মার্কিন পাসপোর্টের একটি ডিজিটাল অনুলিপি যন্ত্রে সংরক্ষণ করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০টির বেশি বিমানবন্দরের টিএসএ (ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) চেক পয়েন্টে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের সময় এই ডিজিটাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করা যাবে।
নতুন আইওএস ২৬ ভার্সনের অংশ হিসেবে এই সুবিধা প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি অঙ্গরাজ্য ও পুয়ের্তো রিকোতে চালু হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও অঙ্গরাজ্যে সুবিধাটি চালু হবে। যদিও ডিজিটাল আইডি এখনো কাগজের পাসপোর্টের বিকল্প নয়। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বা সীমান্ত অতিক্রমের ক্ষেত্রে আগের মতো প্রচলিত পাসপোর্ট বহন করতে হবে।
ডিজিটাল আইডি যুক্ত করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। ওয়ালেট অ্যাপে অ্যাড বা যোগচিহ্নের বোতামে চাপ দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পরিচয়পত্র বিভাগ থেকে ডিজিটাল আইডি নির্বাচন করলে সেটআপ শুরু হয়। এরপর ব্যবহারকারীকে আইফোন দিয়ে পাসপোর্টের ছবিযুক্ত পৃষ্ঠা ও মার্কিন পাসপোর্টের পেছনের চিপ স্ক্যান করতে হয়। পরিচয় যাচাই–সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সেলফি তুলতে হবে। নির্দিষ্ট কয়েকটি মুখাভঙ্গি ও মাথার নড়াচড়া করে ছবি তুলতে হয়।
অ্যাপল ওয়ালেটে আগে থেকে পেমেন্ট কার্ড, লয়্যালটি কার্ড, টিকিট, পাসসহ নানা তথ্য সংরক্ষণের সুযোগ ছিল। এবার সরকারি পরিচয়পত্র যুক্ত হওয়ায় আইফোন কার্যত একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। টিএসএ চেক পয়েন্টে ডিজিটাল আইডি দেখানোর প্রক্রিয়াটি অ্যাপল পের মতোই। ব্যবহারকারী সাইড বাটন বা হোম বাটন দুইবার চাপলে ওয়ালেট চালু হয়। সেখান থেকে ডিজিটাল আইডি নির্বাচন করে আইফোন বা অ্যাপল ওয়াচ পরিচয় রিডারের কাছে ধরতে হবে। এরপর ফেস আইডি বা টাচ আইডির মাধ্যমে যাচাই সম্পন্ন হয়। কোন তথ্য যাচাই করা হচ্ছে, ব্যবহারকারী তা আগেই স্ক্রিনে দেখতে পারবেন। ফলে প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ থাকবে।
সুবিধাটি এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। সব টিএসএ চেক পয়েন্টে প্রয়োজনীয় রিডার বসানো হয়নি বলে ফিচারটি বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। টিএসএ তাদের ওয়েবসাইটে জানাচ্ছে, যাত্রীদের এখনো পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। অ্যাপল জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বয়স যাচাইয়ের মতো বিভিন্ন প্রয়োজনে ডিজিটাল আইডি ব্যবহার করা যাবে। ইভেন্ট ভেন্যু বা হোটেলে প্রবেশের সময় কিংবা অনলাইনে বয়স নিয়ন্ত্রিত পণ্য অর্ডারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা শুধু ২১ বছরের বেশি কি না, এ তথ্য যাচাই করা যাবে। এ জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে হবে না।
অ্যাপলের দাবি, ডিজিটাল আইডি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নষ্ট করে না। ব্যবহারকারী কোথায় বা কখন এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করেছেন, তার কোনো তথ্য জানা যাবে না। এই ফিচারের জন্য ফোন আনলক করতে হয় না, ফোন অন্যের হাতে তুলে দিতে হয় না। এতে অ্যাপল পের মতোই নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দভাবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ