নেপালের মেরা পর্বত জয় করলেন ইমতিয়াজ ইলাহী ও শাহনাজ আক্তার
Published: 20th, November 2025 GMT
নেপালের খুম্বু অঞ্চলের ৬ হাজার ৪৭৬ মিটার উচ্চতার মেরা পর্বত জয় করেছেন দুই বাংলাদেশি অভিযাত্রী ইমতিয়াজ ইলাহী ও শাহনাজ আক্তার। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ছয়টায় ইমতিয়াজ ইলাহী হিমালয় পর্বতমালার মেরা পর্বতের শিখরে (সামিট) পৌঁছান এবং শাহনাজ আক্তার পৌঁছান সকাল সাড়ে ছয়টায়। তবে তাঁদের সঙ্গে থাকা আরেক বাংলাদেশি হোমায়েদ ইসহাক অ্যাকুয়েট মাউনটেইন সিকনেসের (এএমএস) কারণে মেরা পর্বতের হাইক্যাম্প থেকে আর সামিট করতে পারেননি।
সামিটের পর খারেতে নেমে এসে ইমতিয়াজ ইলাহী প্রথম আলোকে হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, ‘এটা আমার জন্য সর্বোচ্চ পর্বত ছিল। এমনিতে অতি উচ্চতা, ঠান্ডা আর প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা হয়নি।’
শাহনাজ আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০ অক্টোবর এভারেস্ট বেজক্যাম্প দিয়ে শুরু করেছিলাম। সেখান থেকে লোগেচে (৬ হাজার ১১৯ মিটার) পর্বতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় ওটায় আর যাওয়া হয়নি। তারপর ইমতিয়াজ ইলাহীদের সঙ্গে যোগ দিই। মেরা পর্বত আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।’
এই দুই অভিযাত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় গাইড তাশি জিয়ালজেন শেরপা ও পাসাং জিয়ালজে তামাং।
মেরার পথে অভিযাত্রা
১২ নভেম্বর তিন অভিযাত্রী লুকলা (২ হাজার ৮০০ মিটার) থেকে ট্রেকিং শুরু করেন। পাঁচ দিনের কঠোর যাত্রায় পার হন দুর্গম জাত্রালা পাস (৪ হাজার ৬০০ মিটার)। ধারাবাহিক উচ্চতা অতিক্রম করে পঞ্চম দিনে পৌঁছান খারেতে (৫ হাজার ৪৫ মিটার), যা মেরা পিকের শীর্ষে আরোহণের বেজক্যাম্প হিসেবে পরিচিত। এরপর গতকাল বুধবার তাঁরা পৌঁছান হাইক্যাম্পে (৫ হাজার ৭৮০ মিটার)। মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে দিবাগত রাত দুইটায় (২০ নভেম্বর) শুরু হয় চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে যাত্রা (সামিট পুশ)। দুই অভিযাত্রী ইমতিয়াজ ও শাহনাজ আজ সকালে মেরা পর্বতের শীর্ষে পৌঁছান। আর হোমায়েদ ইসহাক অসুস্থতার কারণে হাইক্যাম্পে অবস্থান করেন।
মেরা পর্বতের পথে (বাঁ দিক থেকে) হোমায়েদ ইসহাক, শাহনাজ আক্তার ও ইমতিয়াজ ইলাহী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রী নিহত, ট্রাক ভাঙচুর
নীলফামারীতে দ্রুতগতির ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মার্জিয়া আক্তার (১০) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থী মারা গেছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ট্রাকটি ভাঙচুর করেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা সদরের মডেল মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়া মার্জিয়া সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের পীরের মাজার শাহ পাড়া এলাকার মোস্তাকীম শাহের মেয়ে। তিনি শহরের মমতাজ মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল গাড়ি, নিহত ১
গোপালগঞ্জে গাড়িচাপায় বৃদ্ধা নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে বিদ্যালয়ের ক্লাস পার্টিতে অংশ নেয় মার্জিয়া। দুপুরে অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে চাচা হাসু শাহের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মডেল মসজিদের সামনে তার পিপাসা লাগে। রাস্তা থেকে নিরাপদ দূরত্বে মোটরসাইকেলে মার্জিয়াকে বসিয়ে হোটেল থেকে পানি আনতে যান তার চাচা। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড় করানো মোটরসাইকেটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মার্জিয়া। পরে উত্তেজিত জনতা ট্রাকটি ভাঙচুর করেন।
নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.আর সাঈদ জানান, দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ট্রাকটি আটক করে ভাঙচুর করেন।
ঢাকা/সিথুন/মাসুদ