নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রী নিহত, ট্রাক ভাঙচুর
Published: 20th, November 2025 GMT
নীলফামারীতে দ্রুতগতির ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মার্জিয়া আক্তার (১০) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থী মারা গেছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ট্রাকটি ভাঙচুর করেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা সদরের মডেল মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়া মার্জিয়া সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের পীরের মাজার শাহ পাড়া এলাকার মোস্তাকীম শাহের মেয়ে। তিনি শহরের মমতাজ মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল গাড়ি, নিহত ১
গোপালগঞ্জে গাড়িচাপায় বৃদ্ধা নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে বিদ্যালয়ের ক্লাস পার্টিতে অংশ নেয় মার্জিয়া। দুপুরে অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে চাচা হাসু শাহের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মডেল মসজিদের সামনে তার পিপাসা লাগে। রাস্তা থেকে নিরাপদ দূরত্বে মোটরসাইকেলে মার্জিয়াকে বসিয়ে হোটেল থেকে পানি আনতে যান তার চাচা। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড় করানো মোটরসাইকেটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মার্জিয়া। পরে উত্তেজিত জনতা ট্রাকটি ভাঙচুর করেন।
নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.
ঢাকা/সিথুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
সাড়ে আট কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শফিক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করবেন।
গত ২৫ জুলাই শফিক আহমেদ ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে থাকা ২৩১ শতক জমি জব্দের আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। এসব সম্পত্তি গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, শফিক আহমেদের অর্জিত সম্পদের মূল্য ১৭ কোটি ৯৭ লাখ ৯১ হাজার ৬৪২ টাকা। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তাঁর ৯ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৫৮২ টাকার আয়ের উৎস পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে শফিক আহমেদের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৬০ টাকা।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, শফিক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন, ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চের চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন ছিলেন। এসব পদে থাকার সময় বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।