ঢাকা শহরের ব্যস্ত জীবনে পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেট খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে নারীদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন—যে কয়েকটি টয়লেট আছে, সেগুলো অধিকাংশই বন্ধ, নষ্ট বা এতটাই অস্বাস্থ্যকর যে ভেতরে ঢোকা মানেই যেন শাস্তি। যে টয়লেটগুলো খোলা আছে, সেগুলো নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত এবং ব্যবহারকারীকে শ্বাস বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। শহরে পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেটের অভাব সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

এই বাস্তবতা বদলাতে ডোমেক্স-ভূমিজো একসঙ্গে এমন পাবলিক টয়লেট তৈরি করেছে, যা পরিচ্ছন্ন, দুর্গন্ধমুক্ত এবং নিরাপদ। ডোমেক্স বিশ্বাস করে, শুধু পরিষ্কার টয়লেটই জীবাণুমুক্ত নয়। যদি টয়লেট দুর্গন্ধমুক্ত হয়, তাহলেই তা জীবাণুমুক্ত। তাই ডোমেক্স দিয়ে পরিষ্কার করা এই পাবলিক টয়লেটগুলো এতটাই পরিচ্ছন্ন যে, ‘ নাক দিয়েও দেখা যায়!’

জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার থটস অব শামস, রুকাইয়া জাহান চমক, রাকিন আবসার, লিলিপুট ফারহান এবং আলতাফ উদ্দিন আকরোমি বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে এই টয়লেটগুলোতে গিয়ে দেখিয়েছেন যে শহরে এমন পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেট রয়েছে। এখন আর নাক চেপে বা শ্বাস আটকে টয়লেটে যেতে হবে না—কারণ এগুলো পরিচ্ছন্ন, সুগন্ধযুক্ত এবং সবার জন্য উন্মুক্ত। ডোমেক্স-ভূমিজোর এই উদ্যোগ শুধু টয়লেট নিয়ে নয়, এটি শহরকে সবার জন্য আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলার প্রচেষ্টা।

আরও পড়ুন ইনফ্লুয়েন্সারদের নাক ঢাকার কারণ কী১৮ নভেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ কর্মকর্তাদের গোপন পরিকল্পনার’ বিষয়ে জানে না মস্কো

প্রায় চার বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে গোপনে একটি খসড়া পরিকল্পনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এ তথ্য সামনে এনেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কিয়েভকে মস্কোর কাছে তাদের কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। কমাতে হবে নিজেদের সামরিক বাহিনীর আকার। তবে এমন পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত না থাকার কথা জানিয়েছে মস্কো।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, খসড়া এই পরিকল্পনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ক্রেমলিনের উপদেষ্টা কিরিল দিমিত্রিয়েভ। মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পর্দার আড়ালে যোগাযোগ করে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসন এই পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

অনানুষ্ঠানিক এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কিছু ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে হবে কিয়েভকে। যদিও যুদ্ধ থামাতে এমন কোনো ছাড়ের কথা প্রথম থেকে নাকচ করে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পরিকল্পনায় কিয়েভকে মার্কিন সামরিক সহায়তা কমানো এবং ইউক্রেন বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর পরিকল্পনা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। তবে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও লিখেছেন, ‘টেকসই শান্তির জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া—দুই পক্ষকে কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু ছাড় দিতে হবে। এ কারণেই যুদ্ধ থামাতে আমাদের সম্ভাব্য সব পরিকল্পনা তৈরি করে যেতে হবে।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে না বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। আজ বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাও বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে খসড়া কোনো পরিকল্পনা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে পায়নি মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো পরিকল্পনা করলে তা অবশ্যই কূটনৈতিকভাবে রাশিয়ার কাছে পাঠাতে হবে।

যুদ্ধ বন্ধের পরিকল্পনা ফাঁস হওয়া নিয়ে জল্পনার মধ্যেই গত বুধবার কিয়েভ সফরে গেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর সচিব ড্যানিয়েল ড্রিসকোল। ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ থামাতে জেলেনস্কিসহ দেশটির বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।

এদিকে গতকাল বুধবার রাতভর পশ্চিম ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির তেরনোপিল শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন ও জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, হামলায় ৩ শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৩ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ