চট্টগ্রামে রোমাঞ্চকর শুরুর দিনে বিদায় চার দলের, শেষ আটের টিকিটের লড়াই কাল
Published: 20th, November 2025 GMT
ইস্পাহানি–প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের তৃতীয় আসরের প্রথম দিনে জয় পেয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম, চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। নকআউটভিত্তিক টুর্নামেন্টের প্রথম দিনের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পর্বে ‘বাই’ পাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম আগামীকাল মাঠে নামবে। আগামীকালই ঠিক হবে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে কোন দুটি দল যাচ্ছে শেষ আটে।
অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ও পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
আজ প্রথম দুই ম্যাচেরই নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে। প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম টাইব্রেকারে ৫–৪ গোলে হারায় বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে। নির্ধারিত ৭০ মিনিটে ম্যাচ ছিল ১–১। দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য ড্রর পর চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি টাইব্রেকারে ৫–৪ গোলে হারায় সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে। তৃতীয় ম্যাচে হয়েছে গোলবন্যা। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৬–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিকে। দিনের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তুমুল লড়াইয়ের পর ১–০ গোলে জেতে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপক্ষে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে প্রথমবারের মতো।
উদ্বোধনী দিনের একটি ম্যাচের দৃশ্য.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রম আইন সংশোধন প্রত্যাখ্যান করেছে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএ
শ্রম আইন সংশোধন প্রত্যাখ্যান করে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্রকলশিল্প মালিকদের তিন সংগঠন—বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএ।
তিন বাণিজ্য সংগঠন এক বিবৃতিতে বলেছে, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদের (টিসিসি) সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু বিষয় অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সে জন্য অসন্তুষ্ট হয়ে অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট ধারা টিসিসির যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করার আহ্বান জানায় সংগঠন তিনটি।
বিবৃতি দেওয়ার আগে আজ মঙ্গলবার রাতে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএর নেতারা ঢাকার গুলশানে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এতে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল এবং বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ তিন সংগঠনের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় বিটিএমএ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন দুজন ব্যবসায়ী নেতা প্রথম আলোকে জানান, সংশোধন হওয়া শ্রম আইনের তিনটি ধারা নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। এক. শ্রমিকের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুই. ২০ জন শ্রমিকের সম্মতি নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের সুযোগ। বিশেষ করে নিবন্ধনের আবেদনে কতজন শ্রমিকের সম্মতি দরকার, সে–সংক্রান্ত প্রথম দুটি স্তর। তিন. ১০০ জন শ্রমিক হলেই ভবিষ্য তহবিল করা বাধ্যতামূলক।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিসিসিতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা সে অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধন চাই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন নিবন্ধনের আবেদনে শ্রমিকদের সম্মতির প্রথম দুই স্তরের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীল পরিবেশ থাকবে না। সে জন্য আমরা প্রথম দুটি স্তরের পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছি।’
এত দিন কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগত। এখন থেকে শতকরা হারটি থাকছে না, ন্যূনতম ২০ জনের সম্মতি থাকলেই ইউনিয়ন করা যাবে। মূলত ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনে কারখানার মোট শ্রমিকসংখ্যার বিপরীতে কতজনের সম্মতি লাগবে, সেটি বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে ২০ থেকে ৩০০ জন শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ জনের সম্মতি লাগবে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৫০০ শ্রমিক থাকা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪০ জন, ৫০১ থেকে ১ হাজার ৫০০ শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন, ১ হাজার ৫০১ থেকে ৩ হাজার শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ৩০০ জন এবং ৩ হাজার ১ থেকে তার বেশি শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ৪০০ জনের সম্মতি লাগবে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য। একটি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ পাঁচটির বেশি ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে না। এত দিন সর্বোচ্চ তিনটি করা যেত।
বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান গত ২৮ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, টিসিসির সভায় শ্রমিকসংখ্যার ভিত্তিতে ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের কারখানায় ৫০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ইউনিয়ন গঠনের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তা পরিবর্তন করে ২০ থেকে ৩০০ শ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবতা বিবর্জিত।