মুকসুদপুরে আরো ৩ আ.লীগ নেতার পদত্যাগ
Published: 20th, November 2025 GMT
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় পদ-পদবি থেকে পদ্যত্যাগ করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আরো তিন নেতা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার মিয়া। এসময় একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস সেখ ও মো.
আরো পড়ুন:
মুকসুদপুর আ. লীগের আরো ৪ নেতার পদত্যাগ
যুব শক্তির কমিটি ঘোষণার ২৫ মিনিটের মধ্যেই চারজনের পদত্যাগ
আরো পড়ুন: মুকসুদপুর আ. লীগের আরো ৪ নেতার পদত্যাগ
লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার মিয়া বলেন, “আমি গোহালা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে আছি। আমি ব্যক্তিগত কারণে সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। আজ থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, ভবিষ্যাতেও থাকবে না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমি সর্বদা নিয়োজিত থাকব।”
রাজনীতি বা ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আরো দুই সহ-সভাপতি ইদ্রিস সেখ ও মো. হাবিবুর রহমান ফকির একই লিখিত বক্তব্য পাঠ করে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মুকসুদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করেন উপজেলার দিগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চার নেতা।
তারা হলেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শুখহরন বিশ্বাস, একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও বৃক্ষ সম্পাদক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু সরকার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম শিকদার এবং একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য জেলহক শিকদার।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ আওয় ম ল গ র পদত য গ ল গ র আর
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ব্রাকসু নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্বঘোষিত ২৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে এখন ২৪ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক শাহজামান বলেন, পূর্বঘোষিত তারিখের আগে টানা তিন দিন সরকারি ছুটি থাকার ফলে ভোটারদের উপস্থিতি ও সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন এবং নির্বাচনী পরিবেশ আরও অনুকূল থাকে, সে লক্ষ্যে ভোট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৪ নভেম্বর ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ২৬ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৭ নভেম্বর–১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ, ২–৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল (ডোপটেস্ট রিপোর্টসহ), ৪–৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ৭ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিক তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহার, ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও ২৪ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ব্রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই তফসিল ঘোষণার পর একদল শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনার দাবি জানান।