বন্দরসহ কৌশলগত জাতীয় সম্পদ তড়িঘড়ি হস্তান্তরের ‘অপচেষ্টা’ রুখে দিতে সিপিবির আহ্বান
Published: 20th, November 2025 GMT
বন্দরসহ কৌশলগত জাতীয় সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তড়িঘড়ি হস্তান্তরের সব ‘অপচেষ্টা’ রুখে দিতে সর্বাত্মক গণ–আন্দোলনে নামতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। তারা বলেছে, এ ধরনের চুক্তি ক্ষমতাসীন সরকারের এখতিয়ারবহির্ভূত। জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে পরিচালিত হয়ে ভিন্ন কারও স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা করার কোনো সাংবিধানিক অধিকার এই সরকারের নেই।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। ‘বহুজাতিক কোম্পানির কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের লাভজনক টার্মিনাল তড়িঘড়ি হস্তান্তরের সব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে’ বাম গণতান্ত্রিক জোটের ব্যানারে ২৩ নভেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ, ৪ ডিসেম্বর ‘যমুনাযাত্রা’ কর্মসূচি এবং চট্টগ্রামে ২২ নভেম্বর শ্রমিক-কর্মচারীদের কনভেনশন থেকে ঘোষিত হতে যাওয়া বৃহত্তর কর্মসূচি সফল করার আহ্বানও জানিয়েছে সিপিবি।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে হস্তান্তরের চলমান প্রক্রিয়া এবং লালদিয়া চরে টার্মিনালের নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ডাচ কোম্পানির সঙ্গে ইতিমধ্যে সম্পন্ন ৩৩ বছরের কনসেশন চুক্তি এবং সুইচ কোম্পানির সঙ্গে সম্পন্ন ঢাকার অদূরে পানগাঁও নৌ টার্মিনাল ২২ বছর পরিচালনার চুক্তি এই সরকারের এখতিয়ারবহির্ভূত। জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে পরিচালিত হয়ে ভিন্ন কারও স্বার্থে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা করার কোনো সাংবিধানিক অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।
সিপিবি বলেছে, দেশের মানুষ যাঁরা উৎপাদন, বাণিজ্য ও অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁরা সবাই বন্দরে দ্রুত, দক্ষ ও সাশ্রয়ী পরিষেবা প্রত্যাশা করেন। এ জন্য দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক অবকাঠামো, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ, দ্রুত পণ্য খালাস ও সরবরাহ, স্বল্প মাশুল ও ব্যয়, নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিজস্ব দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আত্মনির্ভরতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতাই প্রকৃত উন্নয়ন। জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তাকে সরকার ও তার প্রচারক মহল প্রতারণামূলকভাবে বন্দরে দ্রুত ও দক্ষ পরিষেবা চাহিদার সুযোগ হিসেবে ব্যয় করতে চাইছে।
সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০৭ সাল থেকে অন্তত ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বন্দরের বৃহত্তম নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল গড়ে তুলেছে। সব আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে এই লাভজনক টার্মিনালটি বহুজাতিক ডিপি ওয়ার্ল্ডকে হস্তান্তর করতে অন্তর্বর্তী সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সিপিবি বলেছে, লালদিয়া টার্মিনাল নিয়ে ডেনমার্কের এপি মোলার মায়ের্সক গ্রুপ এবং ১৫৬ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পানগাঁও নৌ টার্মিনাল নিয়ে সুইজারল্যান্ডের মেডলগ এসএ–এর সঙ্গে সম্পন্ন করা চুক্তির বৈধতা নিয়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। যেখানে ভূরাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের প্রশ্ন জড়িত, সেখান ডাচ কোম্পানি প্রস্তাব দাখিলের দুই সপ্তাহের মধ্যে তড়িঘড়ি চুক্তি করে ফেলার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান অত্যন্ত জরুরি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরসহ কৌশলগত জাতীয় সম্পদ তড়িঘড়ি হস্তান্তরের ‘অপচেষ্টা’ রুখে দিতে সিপিবির আহ্বান
বন্দরসহ কৌশলগত জাতীয় সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তড়িঘড়ি হস্তান্তরের সব ‘অপচেষ্টা’ রুখে দিতে সর্বাত্মক গণ–আন্দোলনে নামতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। তারা বলেছে, এ ধরনের চুক্তি ক্ষমতাসীন সরকারের এখতিয়ারবহির্ভূত। জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে পরিচালিত হয়ে ভিন্ন কারও স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা করার কোনো সাংবিধানিক অধিকার এই সরকারের নেই।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। ‘বহুজাতিক কোম্পানির কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের লাভজনক টার্মিনাল তড়িঘড়ি হস্তান্তরের সব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে’ বাম গণতান্ত্রিক জোটের ব্যানারে ২৩ নভেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ, ৪ ডিসেম্বর ‘যমুনাযাত্রা’ কর্মসূচি এবং চট্টগ্রামে ২২ নভেম্বর শ্রমিক-কর্মচারীদের কনভেনশন থেকে ঘোষিত হতে যাওয়া বৃহত্তর কর্মসূচি সফল করার আহ্বানও জানিয়েছে সিপিবি।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে হস্তান্তরের চলমান প্রক্রিয়া এবং লালদিয়া চরে টার্মিনালের নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ডাচ কোম্পানির সঙ্গে ইতিমধ্যে সম্পন্ন ৩৩ বছরের কনসেশন চুক্তি এবং সুইচ কোম্পানির সঙ্গে সম্পন্ন ঢাকার অদূরে পানগাঁও নৌ টার্মিনাল ২২ বছর পরিচালনার চুক্তি এই সরকারের এখতিয়ারবহির্ভূত। জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে পরিচালিত হয়ে ভিন্ন কারও স্বার্থে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা করার কোনো সাংবিধানিক অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।
সিপিবি বলেছে, দেশের মানুষ যাঁরা উৎপাদন, বাণিজ্য ও অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁরা সবাই বন্দরে দ্রুত, দক্ষ ও সাশ্রয়ী পরিষেবা প্রত্যাশা করেন। এ জন্য দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক অবকাঠামো, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ, দ্রুত পণ্য খালাস ও সরবরাহ, স্বল্প মাশুল ও ব্যয়, নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিজস্ব দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আত্মনির্ভরতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতাই প্রকৃত উন্নয়ন। জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তাকে সরকার ও তার প্রচারক মহল প্রতারণামূলকভাবে বন্দরে দ্রুত ও দক্ষ পরিষেবা চাহিদার সুযোগ হিসেবে ব্যয় করতে চাইছে।
সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০৭ সাল থেকে অন্তত ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বন্দরের বৃহত্তম নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল গড়ে তুলেছে। সব আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে এই লাভজনক টার্মিনালটি বহুজাতিক ডিপি ওয়ার্ল্ডকে হস্তান্তর করতে অন্তর্বর্তী সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সিপিবি বলেছে, লালদিয়া টার্মিনাল নিয়ে ডেনমার্কের এপি মোলার মায়ের্সক গ্রুপ এবং ১৫৬ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পানগাঁও নৌ টার্মিনাল নিয়ে সুইজারল্যান্ডের মেডলগ এসএ–এর সঙ্গে সম্পন্ন করা চুক্তির বৈধতা নিয়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। যেখানে ভূরাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের প্রশ্ন জড়িত, সেখান ডাচ কোম্পানি প্রস্তাব দাখিলের দুই সপ্তাহের মধ্যে তড়িঘড়ি চুক্তি করে ফেলার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান অত্যন্ত জরুরি।