ইউনেস্কোতে চাকরি, ঢাকায় কাজের সুযোগ
Published: 20th, November 2025 GMT
‘জুনিয়র কনসালট্যান্ট-মিডিয়া অ্যান্ড ইলেকশনস’ পদে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে ইউনেস্কো। বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যম পরিবেশ, তথ্য যাচাই এবং নির্বাচনী সক্ষমতা জোরদার করতে এই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকাভিত্তিক এই পরামর্শক পদটি জাতিসংঘের BALLOT Project-এর অংশ, যা যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে UNDP, UNESCO এবং UN Women।
পদের দায়িত্বজুনিয়র কনসালট্যান্ট ইউনেস্কোর মিডিয়া ও নির্বাচনবিষয়ক প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবেন। মূল কাজের মধ্যে রয়েছে—
– প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ।
– সরকার, দাতা সংস্থা ও অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয়।
– গবেষণা, জ্ঞান ব্যবস্থাপনা ও নতুন উদ্যোগ শনাক্তকরণ।
– মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ইউনেস্কোর সহযোগিতা কার্যক্রমে সহায়তা।
– বিভিন্ন সভা, কর্মশালা ও ইভেন্টের ডকুমেন্টেশন।
আরও পড়ুনপ্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৪৮৩১২ ঘণ্টা আগেআবেদনের যোগ্যতা– যোগাযোগ, গণমাধ্যম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাজনৈতিক বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
– বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্নয়ন বা নির্বাচনী ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে দুই থেকে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা।
– নীতি সংলাপ, অ্যাডভোকেসি, প্রকল্প সমন্বয় ও রিসোর্স মবিলাইজেশনে অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার।
– বাংলা ও ইংরেজিতে উচ্চমানের লিখিত ও মৌখিক দক্ষতা।
বেতন ও সময়সীমা
মেয়াদ: প্রাথমিকভাবে তিন মাস (কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে বাড়ানো যেতে পারে)।
শুরু: ডিসেম্বর ২০২৫
বেতন: প্রতি মাসে ৬০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা (অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে)।
সময়সূচি: সপ্তাহে ৫ দিন, ৪০ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন৪৩তম বিসিএস: চাকরি হারালেন তিন সহকারী কমিশনার, প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ নেই কারণ৪ ঘণ্টা আগেআবেদন প্রক্রিয়াআগ্রহী প্রার্থীদের ইউনেস্কোর নির্ধারিত পারসোনাল হিস্ট্রি ফর্ম (PHF)-এ সিভি ও স্টেটমেন্ট অব ইন্টারেস্ট সংযুক্ত করে [email protected] ঠিকানায় ই–মেইল করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২৫ নভেম্বর ২০২৫
আরও পড়ুনবিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ, পদ ১৫৯৬১৯ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন স ক
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
সাড়ে আট কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শফিক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করবেন।
গত ২৫ জুলাই শফিক আহমেদ ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে থাকা ২৩১ শতক জমি জব্দের আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। এসব সম্পত্তি গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, শফিক আহমেদের অর্জিত সম্পদের মূল্য ১৭ কোটি ৯৭ লাখ ৯১ হাজার ৬৪২ টাকা। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তাঁর ৯ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৫৮২ টাকার আয়ের উৎস পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে শফিক আহমেদের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৬০ টাকা।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, শফিক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন, ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চের চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন ছিলেন। এসব পদে থাকার সময় বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।