প্লে–অফে ইতালির প্রথম বাধা উত্তর আয়ারল্যান্ড
Published: 20th, November 2025 GMT
চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি ছিল না ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপে। ইতালিয়ানরা এবারও সরাসরি বাছাইপর্ব পেরোতে পারেনি। গতবারের মতো এবারও প্লে-অফ পরীক্ষা দিতে হচ্ছে দলটিকে। সেই পরীক্ষায় ইতালির প্রতিপক্ষ কারা, সেটি জানা গেছে আজ। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে হয়েছে ইউরোপীয় ও আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফের ড্র।
২০২৬ বিশ্বকাপে দল বেড়ে হয়েছে ৪৮টি। এ সপ্তাহের বাছাইপর্ব শেষে ৪২টি দলের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয়েছে। অন্য ৬টি দল বেছে নেওয়া হবে আগামী মার্চের প্লে -অফ পর্ব থেকে। ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে ৪টি ও আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে ২টি দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে।
প্লে-অফের প্রথম ম্যাচে (সেমিফাইনাল) পাথ ‘এ’তে ইতালি প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে উত্তর আয়ারল্যান্ডকে। এই ম্যাচ জিতলে ওয়েলস কিংবা বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা ম্যাচের জয়ীকে প্রতিপক্ষ পাবে ইতালি। ওই ম্যাচটি জিতলেই শুধু পাওয়া যাবে বিশ্বকাপের টিকিট। উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে আজ্জুরিরা অতীত রেকর্ড অবশ্য স্বস্তিদায়ক। দলটির বিপক্ষে ১১ বারের দেখায় মাত্র ১ বার হেরেছে ইতালি।
প্লে–অফের ড্র অনুষ্ঠানে ইতালির ম্যানেজার জিয়ানলুইজি বুফন ও কোচ জেনারো গাত্তুসো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’
মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।