গোপালগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে নারী আহত
Published: 20th, November 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ভাঙ্গাড়ি টোকাতে গিয়ে পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে লালমোন নেছা (৫৫) নামে এক নারী আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার রাধাগঞ্জ এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বিস্ফোরণের তথ্য জানিয়েছেন। আহত লালমোন নেছা কোটালীপাড়া উপজেলার চৌরখুলী গ্রামের আশরাফ আলী সরদারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাসার গেটে ককটেল বিস্ফোরণ, মামলা
ধামরাইয়ে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রোল বোম নিক্ষেপের অভিযোগ
বিকেলে রাধাগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ভাঙ্গাড়ি এনে রাধাগঞ্জ কুড়েঘর রেস্টুরেন্টের ২৫-৩০ ফুট দূরে জড়ো করেন লালমোন নেছা। পরে তিনি সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য মালামাল সরিয়ে রাখছিলেন। এরমধ্যে একটি বস্তু দেখে সেটি হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গেলে তা হাতের উপর বিস্ফোরিত হয়। এতে বাম হাতের ২-৩টি আঙ্গুল বেশ ক্ষতিগ্রস্ত ও রক্তক্ষরণ হয়।
রাধাগঞ্জ কুড়েঘর রেস্টুরেন্টের মালিক মুকুল ফকিরের ছেলে হৃদয় ফকির বলেন, ‘‘হোটেলের পাশে ওই নারী ভাঙ্গাড়ি এনে বিশ্রাম নিচ্ছেলেন। শব্দ শুনে বাইরে গিয়ে দেখি ওই নারী আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে আমরা দ্রুত কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাই।’’
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্ব্যরত চিকিৎসক আবির আহম্মেদ জানিয়েছে, ‘‘আহত অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। ককটেল জাতীয় কিছু বিস্ফোরিত হয়ে তিনি আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা তাকে চিকিৎসা দেই। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে ওই নারী আহত হন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/বাদল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওই ন র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরবে অপহরণ করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়, মাগুরা থেকে একজন গ্রেপ্তার
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মো. রাসেলকে আটকে রেখে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে পাঁচ দিন পর গত ১৭ জানুয়ারি সেখানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি রিয়াদে ব্যবসা করতেন। অপহরণে জড়িত অভিযোগে গতকাল বুধবার মাগুরা থেকে অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। আগে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা পরিকল্পিতভাবে রাসেলকে সৌদি আরবের রিয়াদ শহর থেকে অপহরণ করে। পরে রাসেলের বড় ভাই ঢাকার বাড্ডার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের কাছে একটি ইমো আইডি থেকে ও ভিওআইপির মাধ্যমে ফোন করে রাসেলের জন্য ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা দেওয়া না হলে রাসেলের ক্ষতি করাসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। অপহরণকারীরা মুক্তিপণের অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশের কয়েকটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের নম্বর এবং বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব নম্বর দেয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইফুলসহ স্বজনেরা উপায়ন্তর না পেয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের মুক্তিপণ দিতে রাজি হন। সাইফুল ইসলাম খিলগাঁও ঝিলপাড় এলাকা থেকে বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের নম্বরে ধাপে ধাপে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং অপহরণকারীদের দেওয়া ব্যাংক হিসাবে মোট ২৫ লাখ টাকা পাঠান। মোট ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ পেয়ে রাসেলকে ১৭ জানুয়ারি সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। চলে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা আসামিরা রাসেলের হাতের ছাপ এবং আকামা আইডি নিজেদের হেফাজতে নেয়। অপহরণের ঘটনা ফাঁস হলে রাসেলকে খুন করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখান অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। পরে রিয়াদের স্থানীয়দের সহায়তায় নিরাপদ স্থানে গিয়ে রাসেল পরিবারকে সব খুলে বলেন। রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে থাকছেন এবং সেখানে ব্যবসা করছেন। গত ২১ জানুয়ারি রাসেলের শ্বশুর বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় মামলা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার তদন্তে জানা যায়, অপহরণকারীরা যেসব মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নম্বর ও ব্যাংকের হিসাব নম্বর অপহৃতের স্বজনদের দিয়েছিল, সেগুলোর তথ্যাদি পর্যালোচনা করে মো. জিয়াউর রহমান (৪২) নামের একজনের তথ্য পায় সিআইডি। গ্রেপ্তার জিয়াউর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডি কর্মকর্তাদের বলেছেন, সৌদি আরবে অবস্থানরত অপহরণকারীদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে এই কাজে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিপণ হিসেবে নেওয়া টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি।
সিআইডির কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, মামলাটি বর্তমানে সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে। গ্রেপ্তার জিয়াউর রহমানকে রিমান্ডের আবেদনসহ পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।