​আসন্ন নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বাদ আসর বন্দর ২৩ নং ওয়ার্ডে এক ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

​মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসিরউদ্দিনের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই গণসংযোগে অংশ নেন। প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়।

​বাদ আসর শুরু হওয়া এই গণসংযোগটি ২৩ নং ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়কের অলিগলি প্রদক্ষিণ করে। এ সময় প্রার্থী মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ সাধারণ ভোটারদের সাথে সরাসরি কথা বলেন, তাদের অভাব-অভিযোগ শোনেন এবং জামায়াত  নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি একটি পরিচ্ছন্ন ও জনবান্ধব নারায়ণগঞ্জ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

​গণসংযোগে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ভোটারদের প্রতি মঈনুদ্দিন আহমাদ-এর পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসিরউদ্দিন বলেন, "মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ একজন সৎ, যোগ্য ও নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি।

তিনি নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন এবং গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে বদ্ধপরিকর থাকবেন ইনশাআল্লাহ।"

​স্থানীয় বাসিন্দারা প্রার্থীকে কাছে পেয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং তার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সেক্রেটারি মুহাম্মদ সোলামায়ন মুন্না, মহানগরী শুরা সদস্য মো জাকির হোসাইন,বন্দর থানা আমীর মাওলানা মুফতী আতিকুর রহামান, থানা নায়েবে আমীর রফিকুল ইসলাম,  সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম সহ থানার সকল কর্ম পরিষদ নেতৃবৃন্দ ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন দ দ ন আহম দ গণস য গ

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

সাড়ে আট কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শফিক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করবেন।

গত ২৫ জুলাই শফিক আহমেদ ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে থাকা ২৩১ শতক জমি জব্দের আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। এসব সম্পত্তি গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, শফিক আহমেদের অর্জিত সম্পদের মূল্য ১৭ কোটি ৯৭ লাখ ৯১ হাজার ৬৪২ টাকা। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তাঁর ৯ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৫৮২ টাকার আয়ের উৎস পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে শফিক আহমেদের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৬০ টাকা।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, শফিক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন, ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চের চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন ছিলেন। এসব পদে থাকার সময় বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। শফিক আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ