‘প্রতারিত’ স্টেগান বার্সাকে একটুও ছাড় দেবেন না
Published: 29th, June 2025 GMT
বার্সেলোনার ৩৩ বছর বয়সী জার্মান গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান মনে করছেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। গোলরক্ষক নিয়ে কোন পরিকল্পনা কাতালান ক্লাবটির বোর্ড তাকে জানায়নি। বরং নতুন গোলরক্ষক এনে তাকে অপমান করা হয়েছে। বার্সা চাইলেও তিনি তাই চুক্তি থাকাকালীন ক্যাম্প ন্যু ছাড়বেন না।
ওদিকের বার্সার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো জবাব দিয়ে বলেছেন, তার কাজ কোন খেলোয়াড়ের সঙ্গে পরিকল্পনা শেয়ার করা নয়। তার কাজ কোচের চাওয়া অনুযায়ী, সেরা দল প্রস্তুত করে দেওয়া।
টের স্টেগানের সঙ্গে বার্সার ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে। ওদিকে এস্পানিওল থেকে বার্সা ২৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়াকে ২৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে। হানসি ফ্লিক এই তরুণকে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হিসেবে দলে রাখতে চান।
ওদিকে বার্সা বোর্ড ভয়চেক সেজনিকে দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে দলে রাখার কথা ভাবছে। কারণ তার বেতন কম। টের স্টেগানকে ছেড়ে দিতে চায় ক্লাবটি। কিন্তু টের স্টেগান অনড়, তিনি ক্লাব ছাড়বেন না। বার্সাকে কোন ছাড়ও দেবেন না। ক্যাম্প ন্যুতে থাকবেন এবং শুরুর একাদশে জায়গার জন্য লড়বেন।
সংবাদ মাধ্যম স্পোর্ত দাবি করেছে, টের স্টেগান বার্সাকে কঠিন শর্তও দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে যদি রাখতে না চায় তবে চুক্তি বাতিল করুক এবং ২০২৮ সাল পর্যন্ত তার প্রাপ্য বেতন বুঝিয়ে দিক। তিনি এও জানিয়েছেন, বার্সা চুক্তি বাতিল করলে বেতনের এক পয়সাও ছাড় দেবেন না।
টের স্টেগানের প্রতি নজর রাখছে ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু ক্লাব। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তার বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছে। চেলসি তাকে দলে নিতে চায় বলে খবর। তুর্কি ক্লাব গালাতাসারায়ে স্টেগানকে প্রস্তাব দিয়েছে। অ্যাস্টন ভিলাও ঢুকতে পারে জার্মান গোলরক্ষককে পাওয়ার লড়াইয়ে।
সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, স্টেগানের সঙ্গে সমঝোতার আরও একটি পথ খোলা আছে বার্সার সামনে। সেটা হলো তাকে ফ্রি এজেন্টে দলবদলের সুযোগ করে দেওয়া। ফ্রি এজেন্ট হলে ম্যানইউ, চেলসির মতো ক্লাবে ভালো বেতন ও সাইনিং বোনাস নিয়ে যোগ দিতে পারবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রহাণু ধরতে নতুন প্রযুক্তি
গাছ থেকে নারকেল, তাল কিংবা আম পেড়ে খেতে ভারী মজা। লম্বা লম্বা তালগাছ থেকে তাল পাড়তে অনেক কৌশল ব্যবহার করি আমরা। গাছের মাথা থেকে তাল ফেলে দিলে নিচে অনেক কসরত করে ধরতে হয়। কখনো বিশাল চাদর, কখনো বা খালি হাতেই তাল বা নারিকেল ধরতে চাই আমরা। এবার বিজ্ঞানীরা আকাশে ছুটে চলা গ্রহাণু ধরার একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বিভিন্ন গ্রহাণু বিরল ও সাধারণ সব ধরণের ধাতুসমৃদ্ধ। গ্রহাণুতে মানুষের পৌঁছানো বেশ কঠিন কাজ বলা যায়। বর্তমানে পৃথিবীতে যেহেতু ধাতুর খনির সম্পদ কমছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রহাণু ধরে ধরে খনির চাহিদা মেটাতে চান বিজ্ঞানীরা। এমন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রান্সঅ্যাস্ট্রা নামের স্টার্টআপ।
গ্রহাণু ধরতে একটি ক্যাপচার ব্যাগ ডিজাইন ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ব্যাগ ছোট পাথর থেকে শুরু করে বড় বড় আকারের গ্রহাণু পর্যন্ত সবকিছুকে ধরতে সক্ষম। এই বিশেষ ব্যাগ ব্যবহার করে মহাকাশের আবর্জনা অপসারণের সুযোগ তৈরি হতে পারে। ক্যালটেকের মহাকাশ প্রকৌশলী ও ট্রান্সঅ্যাস্ট্রার প্রতিষ্ঠাতা জোয়েল সার্সেল বলেন, গ্রহাণুতে খনন করা একটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং কাজ। গ্রহাণু খনন সমস্যা সমাধানের জন্য আসলে আরও চারটি সমস্যা সমাধান করতে হয়। গ্রহাণু শনাক্ত করে তাকে ধরা গুরুত্বপূর্ণ। এরপর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধাতু সংগ্রহের সুযোগ আছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গ্রহাণুকে ধরার বিশেষ ব্যাগ প্রযুক্তি পরীক্ষা করা হয়েছে। ব্যাগটি পৃথিবীর মতো কক্ষপথে থাকা গ্রহাণুকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। বেশ কিছু গ্রহাণু আছে যা তুলনামূলকভাবে কাছাকাছি মাত্র শত শত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এসবে খনন করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই শত শত গ্রহাণুর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২৮ সালে প্রথম গ্রহাণু ধরা হবে। ট্রান্সঅ্যাস্ট্রা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১.২ কোটি মার্কিন ডলার ও নাসা ও ইউএস স্পেস ফোর্স চুক্তি থেকে ১. দশমিক ৫ কোটি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে।
এখন পর্যন্ত তিনটি গ্রহাণুতে খননের চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এর পেছনে কয়েক শ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। খরচ কমানোর জন্য ক্যাপচার ব্যাগ ধারণা নিয়ে কাজ করছে। এই পরিকল্পনায় ব্যাগ নিয়ে সজ্জিত একটি মহাকাশযানকে লক্ষ্যবস্তুর কাছে পাঠানো হবে। লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি যাওয়ার পর মহাকাশযানের মাধ্যমে একটি বড় ও টেকসই ব্যাগ দিয়ে তা ধরে ফেলা হবে। যেহেতু গ্রহাণুর ভিতরের নানা উপাদান থাকে তাই নমনীয় ব্যাগটি সেই সব উপাদান সুরক্ষিত করবে।
ট্রান্সঅ্যাস্ট্রার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো গ্রহাণু খননের জন্য ক্যাপচার ব্যাগ ব্যবহার করা। সবচেয়ে বড় ব্যাগে ১০ হাজার টন ওজনের গ্রহাণু ক্যাপচার করা যাবে। ২০২৮ সালের মধ্যে খননের জন্য প্রথম গ্রহাণু ক্যাপচার বা ধরা হতে পারে। এছাড়াও মূল্যবান গ্রহাণুকে ধরার পাশাপাশি ক্যাপচার ব্যাগ মহাকাশের আবর্জনা হিসেবে অকেজো স্যাটেলাইট ধরতে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র: এনডিটিভি