ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে এক ভারতীয় নারীকে আটক করেছে বিজিবি। সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে রবিবার (২৯ জুন) রাত ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
সোমবার (৩০ জুন) মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক নারীর নাম ফাল্গুনী রায় (২৮)। তিনি ভারতের নদীয়া জেলার বনগাঁ থানার আরশিংড়ী গ্রামের মৃত বিশ্বনাথ রায়ের মেয়ে।
আরো পড়ুন:
ভারতে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৫, আহত ১৫
দ্বিগুণ পারিশ্রমিক চাইছেন শ্রীলীলা
বিজিবি জানায়, আটক ভারতীয় নারী দুই বছর আগে যশোর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। এরপর থেকে তিনি যশোরের ঝিকরগাছা থানার গদখালী গ্রামে খালার বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
বিজিবি জানায়, গত ২৫ এপ্রিল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে কুমিল্লাপাড়া বিওপির বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হন ভারতীয় এই নারী। পরে তাকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি। ওই ঘটনায় মামলা হলে তিনি ৫০ দিন কারাভোগ করেন। মুক্তি পেয়ে গতকাল রবিবার রাতে তিনি দ্বিতীয় দফায় অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। সীমান্ত পিলার-৬০/১০৫ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আজ দুপুরে আটককৃতকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, “আটক ভারতীয় নারীকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির দুই নারী শিক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন ছাত্রদল নেতা ফারুক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তির সুযোগ পাওয়া আর্থিকভাবে অসচ্ছল তিন শিক্ষার্থীর ভর্তিসহ পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ২ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন। সম্প্রতি দুই নারীসহ তিন শিক্ষার্থীর হাতে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের তিন শিক্ষার্থীর একজন বাংলা বিভাগ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।
ছাত্রদল নেতা ফারুক হোসেন বলেন, আমি ছোট বেলায় থেকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি নিজের সাধ্য যতটুকু আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য সবাই আসতে চায় না। পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারে না অনেক পরিবার। সেভাবে এই মেধাবী বোন এবং ভাইয়ের পরিবারও অসচ্ছল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা চান্স পেয়েছে, কিন্তু অর্থিকভাবে তারা দুর্বল। তাই চিন্তা করলাম তাদের পাশে দাঁড়ায়। এ জায়গা থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানো। শিক্ষা জীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি যেকোনও প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকব।
এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থার সংগঠন। শিক্ষার্থীদের যেকোনও প্রয়োজনে ছাত্রদল সবার আগে তাদের পাশে দাঁড়ায়। নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর খুব টেনশনে ছিলাম কিভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাব। যেহেতু পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ভালো না। ছাত্রদলের ভাইয়েরা খোঁজ নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পরিবারের লোকজন শুনে অনেক খুশি হয়েছে। যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি সে স্বপ পূরণ করতে পারব।