বন্দরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ধর্ষক
Published: 1st, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩)কে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় ভাই রিপন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২(৭)২৫।
পুলিশ ধর্ষক সিয়াম (১৮)কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের এস এম শাহ রোডস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির কাজীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও উক্ত এলাকার শুক্কুর মিয়ার ছেলে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বন্দর থানার বন্দর বাজার এস এস শাহা রোড সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির কাজীর বাড়ীর ফাঁকা টিনসেড রুমে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারী পরিক্ষার পর ওই দিন দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তথ্যমতে, বাদী রিপন তার পরিবার সহ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বন্দর থানার এস এস শাহা রোডস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির কাজীর বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। সিয়ামসহ তার পরিবার একই বাড়ীতে দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে। স্কুল শিক্ষার্থী ভিকটিম শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার বড় ভাই রিপনের যাওয়ার সময় সিয়াম পূর্ব পরিকল্পনা শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বন্দর বাজারস্থ এস এস শাহা রোড সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির কাজীর বাড়ীর ফাঁকা টিনসেড রুমে নিয়ে যায়। ওই সময় স্কুল ছাত্রী চিৎকার ও চেচামেচি করলে ওই সময় সিয়াম স্কুল ছাত্রী ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে মুখ বেধে ধর্ষণ করে। পরে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় সিয়াম।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।