রূপগঞ্জে চার শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে
Published: 1st, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার মৈকুলী এলাকায় জালাল মিয়া (৭৮) নামের এক বাড়িওয়ালা তার ভাড়াটিয়াদের চার শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়ারা সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, সাংবাদিকদের বিষয়টি জানানোর পর বাড়িওয়ালা জালাল মিয়া ও স্থানীয়রা ভাড়াটিয়াদের হুমকি ও থানায় মামলা না করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী রুবিনা বেগম বলেছেন, আমি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমি পরিবার নিয়ে মৈকুলী এলাকায় জালাল মিয়ার ভাড়া বাসায় থাকছি। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে দেখি জালাল মিয়া আমার ৬ বছরের মেয়েকে বস্ত্রহীন করে ধর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে যেতে চাইলে জালাল মিয়া ও স্থানীয়রা হুমকি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমি তার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আরেক ভুক্তভোগী শেফালী বেগম বলেন, কয়েক দিন আগে জালাল মিয়া আমার ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এর প্রতিবাদের চেষ্টা করলেও জালাল মিয়া ও স্থানীয়দের কারণে আমি থানায় অভিযোগ করতে পারিনি। আমরা জালাল মিয়ার শাস্তি দাবি করছি।
আরেক ভুক্তভোগী চাঁন মিয়া বলেন, আমরা জালাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকি। জালাল মিয়া মুদি দোকান করেন। তিনি আমার দুই নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেন। আমি অন্য জেলা থেকে এসে এখানে থাকি। আমাদের দেখার কেউ নাই। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে আমরা প্রশাসনের কাছেও যেতে পারি না। আমরা জালাল মিয়ার বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম বলেছেন, এমন কোনো ঘটনা আমাদের জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/অনিক/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।