রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
Published: 30th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো.
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আম র হ স ন র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জবাসী ফ্যাসিবাদকে মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ দেবে না : বাবুল
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচির বিরুদ্ধে একযোগে মাঠে নেমেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়। ১৭ নভেম্বর সোমবার সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনের রাস্তায় জড়ো হতে থাকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সকাল থেকেই মহানগরের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। প্রতিবাদ সভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সবার মুখে স্লোগান ছিল, ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’।
সকাল দশটায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান’র সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুল ও বিএনপির সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম।
এসময় মহানগর বিএনপি নেতা আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, আমরা আজকে একত্রিত হয়েছি একটি সুষ্ঠু বিচার এর দাবী নিয়ে, হাসিনার ফাসির দাবী।
খুনি হাসিনার সৎ সাহস থাকলে তিনি বিচারের মুখোমুখি হতো, অথচ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছে, নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে গিয়ে নানানভাবে ষড়যন্ত্র করছে দেশকে অশান্ত করার জন্য।
দেশে সন্ত্রাসের মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরির এই অপতৎপরতা আমরা রুখে দেব, আওয়ামী লীগ আবারও নাশকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাই সাংগঠনিকভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্য।
এই নারায়ণগঞ্জবাসী কোনো ফ্যাসিবাদকে মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ আর দেবে না এবং তাদের সকল দোসরদের কঠোরহাতে দমন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সমাবেশ শেষে সকাল সাড়ে এগারটায় মিশনপাড়া মোড় হতে এক বিশাল মিছিল পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে নিতাইগঞ্জ নগর ভবনের সামনের রাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।