মানুষের সমস্যার সমাধান করাই আমাদের রাজনীতি: নাহিদ ইসলাম
Published: 5th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘মানুষের সমস্যার সমাধান করাই আমাদের রাজনীতি। জনগণের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল কাজ। আমরা মনে করি, জনগণই আমাদের বৈধতা।’
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর শহরের গাইবান্ধা মোড়ে ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত পথসভায় এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির ঘোড়াঘাট উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী আবদুল মান্নান সরকার।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে তরুণেরা রাজপথে নেমে এসেছিল, যে স্বপ্ন নিয়ে আপনার ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমে এসেছিল, আন্দোলন করেছিল, স্বৈরাচার হটিয়েছিল, সেই স্বপ্ন অবশ্যই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকব। আপনাদের এখানে যাঁরা সংগঠক আছেন, তাঁরা ঘোড়াঘাটবাসী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব, সংগঠনের বিস্তার ঘটাব জেলা, উপজেলা, গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে।’
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস—এগুলোকে ভয় পাবেন না। প্রতিবাদ করতে যখন আমরা শিখেছি, এটা আমাদের জারি রাখতে হবে। এটা যদি জারি না রাখি, তাহলে নতুন করে স্বৈরাচার তৈরি হবে। আমরা স্বৈরাচারকে হটাইছি, নতুন করে স্বৈরাচার আসতে দেব না।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আগামী ৩ আগস্ট ঢাকার শহীদ মিনারে আমরা বড় একটি কর্মসূচি করব। সেদিন আমরা আমাদের জুলাই ইশতেহার, ঘোষণাপত্র এবং উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সনদ জাতির সামনে উপস্থাপন করব। আমরা যে রকম গণ-অভ্যুত্থানে বিজয় লাভ করেছি, আগামী দিনগুলোতে, আগামী সংসদে জাতীয় নাগরিক পার্টি বিজয় লাভ করবে।’
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্যসচিব আকতার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মেহেরাজ শাহরিয়ার, ঘোড়াঘাট উপজেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী মোজাম্মেল হক, সদস্য আইয়ুব আলী, সাহাবুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম ই আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় বালিশ চাপা দিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যায় মামলা
ফতুল্লায় পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় জমি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যারপর জোর করে দাফন করার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে রুবেল হাওলাদার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট মহিন উদ্দিন কাদেরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামী করা হয়, নিহত আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪২) তার দুই মেয়ে জাকিয়া সুলতানা (২১), মায়া আক্তার (৩৫) ও পরকীয়া প্রেমিক জাকারীয়া ভেন্ডার (৫৫) সহ অপ্সাত সন্ত্রাসী।
শনিবার বিকেলে মামলার আদেশ পেয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান সাব্বির জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ আগষ্ট রাতে ফতুল্লার ভুইগড় মাহমুদপুর এলাকায় জমি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের নিজ বাড়িতে। তিন তলা এ বাড়িটি দ্বিতীয় স্ত্রী মোর্শেদা বেগম ও মেয়ে জাকারিয়া সুলতানার নামে আগেই লিখে নিয়েছেন। এরপরই মোর্শেদার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন জাকারীয়া ভেন্ডার।
তিনি জানান, মোর্শেদার আগের স্বামীর মেয়ে মায়া আক্তার প্রায় সময় আব্দুর রশিদকে বাড়ির জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। আর মোর্শেদাকে নিজ ঘরেই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে দেখতেন আব্দুর রশিদ। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই মোর্শেদা বেগম দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে আব্দুর রশিদকে মারধর করতেন।
আইনজীবী জানান, হত্যাকান্ডের রাতে খুন হওয়ার আশঙ্কার কথা আব্দুর রশিদ নিজেই আশপাশের লোকজনদের কাছে জানিয়ে যায়। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা এসে আব্দুর রশিদের রক্তাক্ত লাশ দেখে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের বিষয়টি বুজতে পারেন।
তখন তারা থানায় সংবাদ দিতে চাইলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে মাহমুদপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করেন।
এবিষয়ে মোর্শেদা বেগম বলেন, জাকারীয়া ভেন্ডারের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। সে আমার স্বামীর সাথে ব্যবসা করতেন। তারা মামলায় যা উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট।