বলিউডের ‘ধকধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিতে মুগ্ধ হননি এমন দর্শক খুঁজে পাওয়াই মুশকিল! তার রূপ, অভিনয় আর ঝড় তোলা নাচ ভোলার মতো নয়। একজন বাঙালি অভিনেতার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। অভিনয় আর নৃত্যশৈলীর কারণে হাততালি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বার বার আলোচনার উঠে এসেছেন এই তারকা।
১৯৮৪ সালে ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা তাপস পালের সঙ্গে ‘অবোধ’ সিনেমায় জুটি বেঁধে ক্যারিয়ার শুরু করেন মাধুরী। আশির দশকের শেষ ভাগে বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেন মাধুরী। ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘বেটা’, ‘তেজাব’-এর মতো একাধিক হিন্দি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন দুই দুই তারকা।
আরো পড়ুন:
জেন-জিদের ভাষা বোঝার চেষ্টা করি না: কাজল
ট্রলের মুখে প্রসেনজিতের দুঃখ প্রকাশ
বলিউডের একাংশের দাবি, ক্যামেরার পিছনেও অনিল-মাধুরীর প্রেমের সম্পর্ক দানা বেঁধেছিল। তাদের সম্পর্কের কথা বলিপাড়া বাতাসে ভেসে বেরিয়েছে। এক পর্যায়ে বলিউডের এই হিট জুটি একসঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করা থেকে বিরতি নেন। কানাঘুষো শোনা যায়, অনীলের স্ত্রী সুনীতা কাপুর স্বামীকে মাধুরীর সঙ্গে অভিনয় করতে বারণ করেন। ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পুকার’ সিনেমায় মাধুরীর সঙ্গে অভিনয় করেন অনীল। তার ১৯ বছর পর ‘টোটাল ধামাল’ সিনেমায় আবার দুই তারকাকে একসঙ্গে দেখা যায়।
‘খলনায়ক’, ‘থানেদার’, ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’, ‘সাজন’-এর মতো একাধিক হিন্দি সিনেমায় বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তর সঙ্গে অভিনয় করে বাজিমাত করেন মাধুরী। তবে নব্বই দশকে এই জুটির প্রেম নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ‘সাজন’ সিনেমার শুটিং সেটে মাধুরী-সঞ্জয়ের সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। সেই সময় সঞ্জয় বিবাহিত ছিলেন। তার স্ত্রী রিচা শর্মার সঙ্গে মাধুরীর কারণে দূরত্ব তৈরি হয় সঞ্জয় দত্তর।
গুঞ্জন রয়েছে, মাধুরীর প্রেমে সঞ্জয় হাবুডুবু খাচ্ছিলেন বলে রিচার সঙ্গে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সঞ্জয় দত্তর। রিচা সেই দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। পরে নিউ ইয়র্কে চলে যান তিনি। তবে মাধুরীর সঙ্গেও নাকি সঞ্জয়ের সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। ১৯৯৩ সালে সঞ্জয় গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাধুরী তার সঙ্গে যোগাযোগ কমান। সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানেন মাধুরী।
‘উত্তর দক্ষিণ’, ‘লজ্জা’, ‘ত্রিদেব’-এর মতো বহু হিন্দি সিনেমায় জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে অভিনয় করেন মাধুরী। বড় পর্দায় তাদের সম্পর্কের রসায়ন এতটাই জমে উঠেছিল যে, মাধুরী-জ্যাকিকে নিয় নানা ধরনের কানাঘুষো শোনা শুরু হয়েছিল। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, জ্যাকি-মাধুরী নাকি গোপনে সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু কোনো তারকাই প্রকাশ্যে তা নিয়ে মুখ খোলেননি।
মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বাঙালি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’, ‘মুজরিম’, ‘প্যার কা দেবতা’ নামের একাধিক সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছে মাধুরী-মিঠুন। বলিপাড়ার জনশ্রুতি, অনীলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মিঠুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মাধুরী। তবে এসব রটনা বলেই দাবি করেছিলেন মাধুরীর প্রাক্তন ম্যানেজার রিক্কু রাকেশ নাথ। তার ভাষায়—“বলিপাড়ার কয়েকজন প্রযোজক মাধুরীর নামে এই ধরনের কথা ছড়িয়েছিলেন।”
ভারতীয় ক্রিকেটার অজয় জাদেজার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল মাধুরীর। একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করতে গিয়ে পরিচয় হয় মাধুরী-অজয়ের। পেশাগত সূত্রে পরিচয় হলেও অজয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গাঢ় হতে থাকে মাধুরীর। তারা নাকি বিয়ের পরিকল্পনাও করেছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। যদিও সেই সম্পর্কের ইতি টানেন এই অভিনেত্রী।
সমস্ত প্রেমের গুঞ্জন, ফিসফাস অতীতের খাতায় জমা রেখে ১৯৯৯ সালে শ্রীরাম মাধব নেনের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন মাধুরী। এ নায়িকার স্বামী পেশায় একজন চিকিৎসক। বিয়ের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ভারতে ফিরেন। বর্তমানে ক্যারিয়ার, স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন মাধুরী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন মা-মেয়ে
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি বাংলা গানের ভুবনে দীর্ঘদিন ধরে আপন দক্ষতায় শ্রোতা মন জয় করে আসছেন। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য স্বীকৃতি। তারই পথ ধরে সংগীতে সম্ভাবনার জানান দিয়েছেন তার কন্যা রোদেলা। এরইমধ্যে তার কণ্ঠে একাধিক গান শ্রোতামহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এইবার মা-মেয়ে একসঙ্গে গান গেয়ে হাজির হচ্ছেন নতুন চমক নিয়ে। ‘কেন’ শিরোনামের এই গানটি প্রথমবারের মতো একসঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন তারা। গানটির কথা লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রত্যয় খান। গানটি স্যাড-রোমান্টিক ধাঁচের এবং এর ভিডিওচিত্রেও অংশ নিয়েছেন ন্যানসি ও রোদেলা—দুজনেই।
আগামী ১০ জুলাই গানটি প্রকাশ পাবে রোদেলার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। গান প্রসঙ্গে ন্যানসি বলেন, “প্রথমে গানটি আমি একাই গাওয়ার কথা ভাবছিলাম। পরে মনে হলো, রোদেলাকে যুক্ত করলে আরও ভালো হবে। তার কণ্ঠে কিছু অংশ গাইয়ে দেখলাম, ভালোই লাগলো। প্রথমবার আমার সঙ্গে মেয়ের গান— গর্বের এবং আবেগের বিষয়।”
রোদেলার নিজের অনুভব প্রকাশ করে বলেন, “মায়ের সঙ্গে গান গাওয়া এক ধরনের দুঃসাহস! তার গায়কী, কণ্ঠের ইউনিকনেস সবারই জানা। কিন্তু তার সাহস ও অনুপ্রেরণাতেই গানটি গেয়েছি।”
ঢাকা/রাহাত//