সড়কের পাশের খাদে পড়ে ছিল টেম্পো। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখার পর বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে খাদ থেকে টেম্পো তোলার পর দেখতে পান চাপা পড়ে রয়েছে যুবকের লাশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুরের চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।  পরে লাশের সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ওই যুবকের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। তাঁর নাম লিটন বড়ুয়া। তিনি রাঙ্গুনিয়ার মতুয়ার টিলা বড়ুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই টেম্পোর চালক ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশ। পরে নিচে লিটন বড়ুয়ার লাশ দেখতে পায়। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। ফটিকছড়ি থেকে নাজিরহাট যাওয়ার পথে টেম্পোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

জানতে চাইলে নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশটির পকেটে পাওয়া আইডি কার্ডের সূত্র ধরেই ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বক র

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি

জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।

‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।

শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ