কর্ণফুলী টানেলে দিনে লোকসান ২৭ লাখ টাকা
Published: 26th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ বা টানেল দিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৬টি গাড়ি কম চলাচল করেছে। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৯ জুলাই পর্যন্ত টানেল পার হয়েছে ২৪ লাখ ২৮ হাজার ৩১৫টি গাড়ি। এই সময়ে আসা-যাওয়ার কথা ছিল ১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৬৮১টি গাড়ি। অর্থাৎ ২১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র সাড়ে ১৮ শতাংশ গাড়ি চলেছে। টানেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
কর্ণফুলী টানেলের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে টানেল চালু হলে দিনে ২০ হাজার ৭১৯টি যানবাহন চলবে। টানেল চালু হয়েছে ২০২৩ সালের অক্টোবরে। পরে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এই প্রক্ষেপণ কমিয়ে ২০২৪ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজার ৪৮৫টি গাড়ি চলার পূর্বাভাস দেয়। আর ২০২৫ সালে যানবাহন চলেছে ১৯ হাজার ৬৬৯টি। টানেল চালুর ২১ মাস পার হতে চললেও এখনো এক দিনের জন্যও পূর্বাভাস অনুযায়ী গাড়ি চলাচল করেনি।
টানেল দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গাড়ি চলাচল না করায় এটিকে শ্বেতহস্তী প্রকল্প বলছেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। গত ২৮ জুন চট্টগ্রামে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, টানেল চালু হওয়ার পর এখন রক্ষণাবেক্ষণ খরচও উঠছে না। টানেল চালু রাখতে প্রতিদিন লোকসান দিতে হচ্ছে। নির্মাণের আগে পরিকল্পনা করা দরকার ছিল।
চালুর প্রথম পাঁচ বছর টানেল সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবহার হবে না। এটির পরিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য মিরসরাই শিল্পনগর থেকে আনোয়ারা-বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া মাতারবাড়ী কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করতে হবে। মইনুল ইসলাম, সাবেক অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গত বছরের ১৫ নভেম্বর টানেল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘কর্ণফুলী টানেলের পাশ দিয়ে এলাম, সেখানে কোনো গাড়ি দেখলাম না। এটি একটি বাহাদুরি প্রকল্প। কিন্তু বাহাদুরি করার মতো অবস্থা আমাদের নেই।’
টানেল দিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী কেন গাড়ি চলছে না, তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি টানেল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলীরা। সেতু কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর চালু না হওয়া, আনোয়ারা প্রান্তে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গাড়ি চলাচল করছে না।
নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকাছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার কর্ণফুলী নদীর নিচে এই টানেল নির্মাণ করেছিল। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্তে কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকাজ শেষে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর টানেল যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার টানেল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, টানেল থেকে এখন পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৬৭ কোটি ৬৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা। প্রতিদিন গড়ে আয় হয়েছে ১০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তবে টানেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে দৈনিক ব্যয় হয় ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। দৈনিক আয় প্রায় ১০ লাখ টাকা। দৈনিক ঘাটতি প্রায় ২৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। চালুর পর ব্যয় হয়েছে ২৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত লোকসান ১৯১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
প্রত্যাশা অনুযায়ী গাড়ি না চলায় টানেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) ১৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঘাটতি হবে বলে মনে করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের মতে, এই অর্থবছরে টানেল থেকে আয় হতে পারে ৩৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় এই টানেলকে ‘শোপিস’ আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এই শোপিস তো বেশি দিন দেখতে আসবেন না মানুষ। টানেল দেখার জিনিস না।
সেতু কর্তৃপক্ষের হিসাবে, টানেলের ভেতর দিয়ে সবচেয়ে বেশি চলাচল করছে হালকা যানবাহন (কার, জিপ, পিকআপ, মাইক্রোবাস)। এর পরিমাণ ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪০টি, যা মোট গাড়ির ৭৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম বলেছেন, চালুর প্রথম পাঁচ বছর টানেল সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবহার হবে না। এটির পরিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য মিরসরাই শিল্পনগর থেকে আনোয়ারা-বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া মাতারবাড়ী কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করতে হবে। এই এলাকাজুড়ে শিল্পায়ন, পর্যটন ও আবাসন এলাকা গড়ে উঠতে সময় লাগবে। কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে ও মিরসরাই শিল্পাঞ্চল চালু হলে টানেলের ব্যবহার আরও বাড়বে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ম ণ কর প রকল প ব ম ত রব ড় উপদ ষ ট ব যবহ র অন য য় র জন য য় হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টা শুল্ক ও এনবিআরে কর্মবিরতির কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ১২%
বিদায়ী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিক এপ্রিল–জুনে দেশ থেকে ৯১১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি তার আগের জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকের তুলনায় ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিকে দায়ী করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে।
তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, গত এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাত বেশ কিছু গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে ছিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন, যা ওই প্রান্তিকের রপ্তানি দক্ষতাকে দুর্বল করে দেয়। নীতিগত পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ (পরে কমে হয়েছে ২০ শতাংশ) পাল্টা শুল্ক আরোপ। তখন পর্যন্ত সেটি কার্যকর না হলেও তা ক্রয়াদেশ স্থগিত ও অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
মার্কিন প্রশাসন গত ৩১ জুলাই অন্য অনেক দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশি পণ্যেও পাল্টা শুল্কের হার সংশোধন করে। এবারে বাংলাদেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক কমে ২০ শতাংশ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। তাতে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। কারণ, এ বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগী ভিয়েতনামের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতের ওপর পাল্টা শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আর চীনের শুল্ক এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআরের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়, যা পণ্যের চালান প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। সময়মতো পণ্য পাঠানোকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করে। এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিস্থিতি, দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন ব্যয় ও রপ্তানি বাজারের বৈচিত্র্যহীনতা ইত্যাদি কারণে রপ্তানির গতি শ্লথ হয়ে পড়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়, যা পণ্যের চালান প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। এতে পণ্য পাঠানো ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। আবার বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিস্থিতি, উৎপাদন ব্যয় ও বাজারের বৈচিত্র্যহীনতা রপ্তানির গতি শ্লথ করে দেয়।গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে প্রায় দুই মাস আন্দোলন করেন। ২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। এরপর ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এরপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে এনবিআর কর্তৃপক্ষ। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণে আন্তমন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মূল্য সংযোজন কমেছেবিদায়ী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন কিছুটা কমেছে। এই প্রান্তিকে দেশ থেকে মোট ৯১১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে ৩৯৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল আমদানি হয়। তার মানে মূল্য সংযোজন দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তার আগের প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ছিল ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার অনেকে প্রকৃত রপ্তানি আয়কে পোশাক খাতের মূল্য সংযোজন হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।
গত ২০২২–২৩ ও ২০২৩–২৪ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দেখিয়েছিল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তখন রপ্তানির পাশাপাশি মূল্য সংযোজনও কৃত্রিমভাবে বেড়ে গিয়েছিল। পরিসংখ্যানের গরমিলের বিষয়টি গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সামনে আনে। এরপর রপ্তানির পরিসংখ্যান সংশোধন হয়। তাতে গত দুই অর্থবছরের সাত প্রান্তিকে পোশাক খাতে মূল্য সংযোজন কমে যায়।
রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখানোর কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর–ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন একলাফে ৫৯ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তারপরের পাঁচ প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন আরও বেড়ে ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ছিল। যদিও সংশোধনের পর দেখা যায়, ওই অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে ৬২ শতাংশে নেমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে সাড়ে ৫৭ থেকে সাড়ে ৬১ শতাংশ হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই–সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন ছিল ৫৭ শতাংশ। পরের প্রান্তিকে, অর্থাৎ অক্টোবর–ডিসেম্বরে সেটি বেড়ে ৬১ শতাংশে উন্নীত হয়। তারপরের দুই প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে হয় যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ৯০ ও ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।