খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের স্মরণে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতা–২০২৫ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ একাডেমিক ভবনের সামনের মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের আয়োজনে এ টুর্নামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের দলসমূহ অংশ নিচ্ছে।

আরো পড়ুন:

জবিতে বাস সংকট চরমে, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

বিশ্বের ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফাউন্ডেড স্কলারশিপ পেলেন বেরোবি শিক্ষার্থী

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, “খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও সুস্থ রাখতে সহায়ক। ফুটবল আমাদের জাতীয় ও সাংস্কৃতিক আবেগের প্রতীক। তবে খেলায় অংশগ্রহণের সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও রেফারির সিদ্ধান্তকে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া আমাদেরই শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতা দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, প্রতিটি খেলা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতার চেতনার পাশাপাশি সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধও জাগ্রত করবে।”

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.

এস এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত।

শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বাংলা ডিসিপ্লিনের হিমেল এবং সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের মামুন।

ঢাকা/হাসিব/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।

আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ