ভারতে পালানোর সময় দীপু মনির ভাগ্নেসহ আটক ৪
Published: 9th, August 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় তিন দালালসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভাগ্নে রিয়াজ উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে ঝিনাইদহের স্বরূপপুর ইউনিয়নের পেপুলবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রিয়াজসহ তিন দালাল জেলেপোতা মাঠ দিয়ে রিয়াজ উদ্দিনকে ভারতে পাঠানোর সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হন। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) শ্যামকুর বিওপি ও মহেশপুর থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তরিকুল ইসলাম তরু জানিয়েছেন, দালালরা রিয়াজ উদ্দিনকে মাঠের মধ্যে দিয়ে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা কাঁচা থাকায় ফিরে আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করলে রিয়াজ উদ্দিন বলেন যে, দালালরা তাকে তিন দিন ধরে আটক রেখে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও এটিএম কার্ড নিয়েছে। বিষয়টি থানায় জানালে এসআই আলমগীর ঘটনাস্থলে হাজির হন। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরাও আসেন। পরে তাদেরকে থানায় নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
ঝালকাঠির সাবেক পৌর মেয়র লিয়াকত আলী ঢাকায় গ্রেপ্তার
‘আ.
অপর দালালরা হলেন— পেপুলবাড়িয়া গ্রামের ফয়েজ ও মিরাজ। তারা মানবপাচার ও চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। গত ২ মে দালাল রিয়াজ পেপুলবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছেন, চারজনকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। একজনের বাড়ি চাঁদপুর মতলব থানায়। তার বাবার নাম আবুল হোসেন ব্যাপারী। সে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতা। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় একাধিক মামলা আছে।
ঢাকা/সোহাগ/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ সদস য র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা নেই: মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, “আমি এই পরিষদের সামনে আবারো ঘোষণা করছি যে ইরান কখনো পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায়নি এবং কখনো চেষ্টা করবে না। আমরা পারমাণবিক অস্ত্র চাই না।”
২৮শে আগস্ট ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য ৩০ দিনের একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২৭শে সেপ্টেম্বর এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। এই তিনটি দেশ তেহরানকে ২০১৫ সালে বিশ্বশক্তিগুলোর সাথে একটি চুক্তি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনেছে যার লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা।
ইরান যদি জাতিসংঘের পারমাণবিক পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার পুনরায় অনুমোদন করে, সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ নিয়ে উদ্বেগ দূর করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় অংশ নেয় তবে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য জায়গা করে দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় শক্তিগুলো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল ছয় মাস পর্যন্ত বিলম্বিত করার প্রস্তাব দিয়েছে।
পেজেশকিয়ান ইউরোপীয় শক্তিগুলোর এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ বলে সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে’ করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার ইউরোপীয় মিত্র এবং ইসরায়েল তেহরানকে অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা বিকাশের প্রচেষ্টার আবরণ হিসেবে তার পারমাণবিক কর্মসূচি ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। ইরান দাবি করেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।
পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এটি করে তারা সৎ বিশ্বাসকে একপাশে রেখে গেছে। তারা আইনি বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে গেছে। তারা ইরানের আইনসম্মত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাগুলোকে ... গুরুতর লঙ্ঘন হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে।”
ঢাকা/শাহেদ