গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ শনিবার বিকেলে সাত আসামিকে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর আল মামুনের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই সাত আসামি হলেন মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, আল-আমীন, স্বাধীন, মো.

শাহজালাল, মো. ফয়সাল হাসান, সুমন ওরফে সাব্বির।

এর আগে শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার তাঁর কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানান।

গাজীপুরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন খান আসামিদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর নগরের ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।

আরও পড়ুনফাঁদে ফেলে প্রতারণার ঘটনা ভিডিও করায় খুন করা হয় সাংবাদিক তুহিনকে: পুলিশ৫ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনসিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত, স্বামী-স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৪২০ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপ্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা০৭ আগস্ট ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিমা বিসর্জনের নৌকা থেকে আত্রাই নদে পড়ে কিশোর নিখোঁজ

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় আত্রাই নদে প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকা থেকে পড়ে রনি (১৬) নামের এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আত্রাই নদের মহাদেবপুর শিবগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ রনি জেলার মান্দা উপজেলার বানডুবি গ্রামের রণজিত হাওলাদারের ছেলে। ঘটনার পর তাকে উদ্ধারের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্গাপূজায় প্রতিমা বিসর্জনের অংশ হিসেবে প্রতিবারের মতো এবারও আত্রাই নদে প্রতিমা ভাসানোর আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় মানুষ, পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধবসহ অনেকে নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরছিলেন। এর মধ্যে রনি যে নৌকায় ছিল, সেটি মহাদেবপুর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকায় পৌঁছায়। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রনি নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। এ সময় নৌকায় রনির সঙ্গে থাকা লোকজন দ্রুত থানা-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ শুরু করে। তবে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন রেজা প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ কিশোরকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তল্লাশি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ