বিশ্বের কোন দেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ উড়োজাহাজে যাতায়াত করে
Published: 10th, August 2025 GMT
বিশ্বের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর বাণিজ্যিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) প্রতিবেদনে বিশ্বে শীর্ষ উড়োজাহাজে চলাচলকারী দেশগুলোর চমকপ্রদ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের তথ্য নিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার ট্রান্সপোর্ট স্ট্যাটিসটিকস’ নামের এই প্রতিবেদনে বিশ্বের উড়োজাহাজপ্রেমী দেশগুলোর নামও এসেছে।
আইএটিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এভিয়েশন মার্কেট বা উড়োজাহাজে চলাচলের বাজার ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে বছর দেশটিতে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ যাত্রী আকাশপথে ভ্রমণ করেছেন, যার বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণ রুটে। সংখ্যাটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতের উড়োজাহাজযাত্রীর তুলনায় চার গুণ।
যুক্তরাষ্ট্রের পরই আছে চীন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশটি ২০২৪ সালে ৭৪ কোটি ১০ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। তবে প্রবৃদ্ধিতে চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে চীনে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি যাত্রী চলাচল করেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ২০২৪ স ল সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে
১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।
এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।
আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।
এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪