Prothomalo:
2025-11-18@06:36:01 GMT

মঞ্জুর হওয়া গৃহঋণও আটকে গেছে 

Published: 11th, August 2025 GMT

আবাসন খাতে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) ঋণের চাহিদা বাড়ছে। এ খাতে ঋণদানকারী রাষ্ট্রীয় বিশেষায়িত একমাত্র সংস্থা বিএইচবিএফসি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ঋণের সুদের হার কম হওয়ায় গৃহঋণ নিতে আগ্রহীরা এ সংস্থায় বেশি ঝুঁকছেন। কিন্তু তহবিলসংকটে সংস্থাটি সন্তোষজনক মাত্রায় ঋণ দিতে পারছে না।

বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদেরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় গৃহঋণ দিতে পারছে না বিএইচবিএফসি। এমন বাস্তবতায় আবাসন খাতে ঋণ বাড়াতে বিএইচবিএফসি সরকারের কাছে এক হাজার কোটি টাকার ঋণসহায়তা চেয়েছে। গত ২৬ জুন অনুষ্ঠিত সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ৩ শতাংশ সুদে ২০ বছর মেয়াদে সরকার থেকে এ ঋণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৪ জুলাই সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.

আবদুল মান্নান এ সহায়তা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিঠি এসেছে। আবাসন খাতে বিএইচবিএফসির ঋণের চাহিদা যে বাড়ছে, এটাও ঠিক। সংস্থাটিকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে কাজ চলছে। সম্প্রতি আমরা এ ব্যাপারে অর্থ বিভাগের মতামত চেয়েছি। দেখা যাক।’

সাত দশকের বেশি সময় ধরে সুপরিকল্পিত আবাসন বিনির্মাণে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ঋণ দিয়ে আসছে বিএইচবিএফসি। সবার জন্য আবাসন, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণিকে ৭৩টি শাখা কার্যালয়ের মাধ্যমে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। দেশের নগর ও মহানগর অঞ্চলের বাইরে সব উপজেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্রোথ সেন্টারগুলোতে সম্প্রসারণ করা হয়েছে এ ঋণ কার্যক্রম।

ঋণ পাওয়ার যুক্তি হিসেবে সংস্থাটি কিছু তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে। জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৪৬ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ঋণ দিয়েছে ৬৯৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে দিয়েছে ৯১৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে দিয়েছে ৯২২ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদায়ী অর্থবছরে টাকার অভাবে ৪১২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করতে পারেনি সংস্থাটি।

অর্থসংকট কাটাতে ৩ শতাংশ সুদে ২০ বছর মেয়াদে সরকারের কাছে এক হাজার কোটি টাকা চেয়েছে সংস্থাটি।মোট তহবিল কত

বিএইচবিএফসি সরকারকে জানিয়েছে, ১৯৫২ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো ঋণ অবলোপন করেনি সংস্থাটি। সংস্থাটি কোনো ঋণ মওকুফও করেনি। খেলাপি ঋণের হার ২৫ শতাংশ থেকে কমে নেমে এসেছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে। সংস্থাটির কোনো প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি নেই। প্রচলিত ঋণের পাশাপাশি শরিয়াহভিত্তিক ঋণসুবিধাও রয়েছে সংস্থাটির। বিএইচবিএফসি থেকে ঋণ নিলে তা ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।

সংস্থাটি এর তহবিলের মোট স্থিতিও জানিয়েছে। এ পর্যন্ত ছয়টি খাতে মোট তহবিল পেয়েছে ৪ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ১১৫ কোটি টাকা। বাকি তহবিলের মধ্যে ঋণপত্র (ডিবেঞ্চার) বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থই বেশি, যার পরিমাণ ১ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইএসডিবি) প্রথম পর্যায়ে ৯২৮ কোটি ৩০ লাখ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭০০ কোটি টাকা দিয়েছে। সরকারি ঋণ রয়েছে ৮২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং স্থায়ী আমানত রয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। মোট তহবিলের মধ্যে স্থিতি বা ব্যালান্সের পরিমাণ বর্তমানে ২ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।

যেসব উৎস থেকে তহবিল পেয়েছে সংস্থাটি, তাদের কোনো কিস্তি বকেয়া নেই। এগুলোর সুদের হার ২ থেকে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত। সুদ ও আসল মিলিয়ে ঋণদাতা সংস্থাগুলোকে তিন অর্থবছরে সংস্থাটি ৩২৪ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।

লভ্যাংশ পাচ্ছে সরকার

ঋণ আবেদনের পর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এক পর্যায়ে ঋণ মঞ্জুর করে বিএইচবিএফসি। দেড় বছর আগে যেসব ঋণ আবেদন মঞ্জুর হয়েছে, তার মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত অনেকে ঋণ পাননি। এর মধ্যে সাধারণ ঋণ রয়েছে ৩৩৪ কোটি টাকা আর সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ রয়েছে ৫০ কোটি টাকা।

সংস্থাটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানিয়েছে, ঋণ প্রস্তাব মঞ্জুর করার পরও ঋণের চেক দেওয়া যাচ্ছে না নগদ তহবিলের চরম সংকটের কারণে। এতে গ্রাহক অসন্তোষ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অথচ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কর–পরবর্তী মুনাফা থেকে সরকারকে লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মুনাফা থেকেও ৫০ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়, যা বর্তমান সংকটকে আরও নাজুক করে তুলেছে।

বিএইচবিএফসির এমডি মো. আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যুক্তি তুলে ধরে সরকারের কাছে এক হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছি। আশা করছি, সরকার তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট ক র ঋণ তহব ল র পর য য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সরবরাহ বাড়ছে শীতের আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির, কমছে দাম

শীতের আগাম সবজি হিসেবে বাজারে এসেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। মৌসুমের শুরুতে দাম স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বেশি থাকলেও সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দাম ইতিমধ্যে কিছুটা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি পিছ ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৪০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

সরবরাহ বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এসব সবজির দাম আরও কমবে। ভরা মৌসুমে খুচরা পর্যায়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম কমে ১০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে নেমে আসে।

সরকারি তথ্য বলছে, দেশে গত তিন বছরে ফুলকপির উৎপাদন বেড়েছে ১৪ শতাংশ এবং বাঁধাকপির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। উৎপাদন বাড়লেও মৌসুমের শুরুতে সবজির দাম কিছুটা বেশি থাকে। প্রথম দিকে যেসব ফসল আসে, সেগুলো সাধারণত আকারে ছোট হয়। তবে বাজারে সরবরাহও তুলনামূলকভাবে কম থাকা এবং আগাম সবজির বিষয়ে মানুষের আগ্রহ থাকায় দাম বাড়তি থাকে।

ফুলকপি শীতের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। রান্না তরকারি, ভাজি, স্যুপ, হালকা সেদ্ধ কিংবা সালাদ হিসেবে এটি খাওয়া যায়। বাঁধাকপিও ভাজি, স্যুপ ও সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। শীত মৌসুমে স্বাদের দিক থেকেও এ দুটি সবজি অনেকেরই পছন্দ।

উৎপাদন কেমন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২২–২৩ অর্থবছরে দেশে ১৩ লাখ ১২ হাজার টন ফুলকপি উৎপাদন হয়েছিল। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে উৎপাদন বেড়ে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টন হয়। সর্বশেষ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ফুলকপি উৎপাদন আরও বেড়ে ১৫ লাখ টনে ওঠে।

অন্যদিকে ২০২২–২৩ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টন বাধাঁকপি উৎপাদন হয়। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টন হয়। গত অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার টন হয়েছে। অর্থাৎ গত কয়েক বছর ধরে টানা ফুলকপি ও বাঁধাকপির উৎপাদন বাড়ছে।

বাঁধাকপির চেয়ে বেশি জমিতে ফুলকপি চাষ হয়। যেমন, গত অর্থবছরে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছিল, যেখানে বাধাঁকপি চাষ হয়েছিল ৪৪ হাজার হেক্টরে। উৎপাদনের দিক থেকেও ফুলকপি এগিয়ে।

ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ ও ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে গত দুই বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর তাঁরা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে এই সবজি দুটির চারা লাগিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যাশা, এ বছর শীত মৌসুমেও ভালো ফলন ও দাম পাওয়া যাবে।

এখন আসছে আগাম ফলন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সম্প্রসারণ) এইচ এম মনিরুজ্জামান জানান, সাধারণত আগস্টের শেষ কিংবা সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে বারি (শীতকালীন) ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ শুরু হয়। প্রথমে বীজ বপন করে চারা গাছ তৈরি করা হয়। ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর সেই চারা রোপণ করা হয়। সাধারণত চারা লাগানোর পরে তা বিক্রির উপযোগী হতে ৮০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে। অনেক সময় বাজারে দাম বাড়তি থাকলে ১৫ থেকে ২০ দিন আগেও (ছোট অবস্থায়) ফসল তুলে বিক্রি করেন কৃষকেরা।

আগস্টের শেষ কিংবা সেপ্টেম্বরে যে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করা হয়, সেগুলো হচ্ছে আগাম ফসল। বর্তমানে এই আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে আসছে। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এসব আগাম সবজি বাজারে আসবে। এরপর মৌসুমের মূল সবজি আসা শুরু করবে।

সাধারণত মৌসুমের শুরুতে কোনো সবজি এলে (আগাম) সেগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এতে কৃষক, আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ী—সবাই লাভবান হন। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবারও কৃষকেরা আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন।

আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারে কিছুটা ছোট হয়। বড় হওয়ার আগেই কৃষকেরা এগুলো তুলে বাজারে আনেন। যেমন, বর্তমানে যেসব ফুলকপি বাজারে আসছে, সেগুলোর ওজন ৪০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মধ্যে। ভরা মৌসুমে এক থেকে দেড় কেজি কিংবা তারও বেশি ওজনের ফুলকপি বাজারে আসে। বর্তমানে যেসব বাঁধাকপি আসছে, সেগুলোর ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে। পরবর্তী সময়ে দেড়–দুই কেজি আকারের বাঁধাকপি বাজারে আসবে।

চাষ কোথায় বেশি

কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলা থেকে ফুলকপি ও বাঁধাকপির সরবরাহ বেশি আসছে। ভরা মৌসুমে এসব এলাকার পাশাপাশি মানিকগঞ্জ ও সাভারসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও সবজি দুটির সরবরাহ আসবে।

বিভিন্ন প্রজাতির ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ফুলকপির ভালো জাতগুলোর মধ্যে বারি ফুলকপি-১ (রুপা), বারি ফুলকপি-২, ৩ ও স্নো হোয়াইট উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া হোয়াইট ফ্লাশ ২০২০ ও অটাম জায়ান্ট হাইব্রিড জাতও রয়েছে। বাঁধাকপির জাতের মধ্যে আছে বারি বাঁধাকপি-১ ও বারি বাঁধাকপি-২ (অগ্রদূত)। আইপিএসএ বাঁধাকপি-১ গ্রীষ্মকালেও চাষ হয়।

ঢাকায় সরবরাহ ও পাইকারি দাম

গত শুক্র ও শনিবার রাতে কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে ফুলকপি ও বাঁধাকপি আসছে।

কারওয়ানবাজারের আড়তদার আবদুল কাদির ভূইয়া প্রতিবছর শীত মৌসুমে ফুলকপির ব্যবসা করেন। তিনি জানান, বর্তমানে ব্যাপারীর কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে প্রতি পিছ ফুলকপি কিনছেন তাঁরা। এরপর সেগুলো ২৫ থেকে ৩৫ টাকা দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। এই ফুলকপি আরও এক-দুই হাত ঘুরে খুচরায় ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপির দামও অনেকটা এমন।

অবশ্য অনেক কৃষক সরাসরি ঢাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপি নিয়ে আসছেন। যেমন, যশোর সদরের নোঙ্গরপুর গ্রামের কৃষক আবদুস সাত্তার এ বছর সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে দেড় বিঘা জমির আগাম বাঁধাকপি কেটে বিক্রি করেছেন। ব্যাপারীদের মাধ্যমে বিক্রি করলে দাম পাওয়া যায় কম। সে কারণে গত মঙ্গলবার নিজেই ট্রাক ভাড়া করে বাঁধাকপি কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসেন।

আবদুস সাত্তার বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রতি পিছ বাঁধাকপি ৩৩ টাকা করে বিক্রি করেছি। এর সঙ্গে ট্রাক ভাড়া, শ্রমিক মজুরি যোগ হবে। তবে ব্যাপারীদের মাধ্যমে বিক্রি করলে দাম পাওয়া যেত মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা। সব মিলিয়ে আগাম বাঁধাকপি বিক্রি করে এখন ভালো দাম পাচ্ছেন তিনি। তাঁর আশা, ভরা মৌসুমেও মোটামুটি ভালো দাম থাকলে এ বছর মুনাফা করতে পারবেন; না হয় চাষের খরচ উঠে আয়-ব্যয় সমান সমান থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজবাড়ী সরকারি মুরগি প্রজনন খামার জরাজীর্ণ, নষ্ট হচ্ছে কোটির টাকার সম্পদ  
  • বিএসআরএম স্টিলের মুনাফা বেড়ে দ্বিগুণ
  • ওয়েস্টিন ও শেরাটনের ব্যবসা বেড়েছে 
  • নভেম্বরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা 
  • সরবরাহ বাড়ছে শীতের আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির, কমছে দাম
  • সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ব্যবসা বেড়ে তিন গুণ
  • তিন মাসে ওয়ালটনের মুনাফা ২২১ কোটি টাকা