চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ২২ বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ বুধবার দুপুরে সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৭৬ নম্বরের পাশে শূন্য লাইনে (নো ম্যানস ল্যান্ড) উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) পক্ষে দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো.

এনামুল হক ও ৩২ বিএসএফ গেদে ক্যাম্পের পক্ষে কোম্পানি কমান্ডার রাজেশ কুমার নেতৃত্ব দেন। ৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর প্রথম আলোকে জানান, ওই ২২ জনের আত্মীয়স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।

৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে জানান, এসব বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটকের পর তাঁদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। বিএসএফের দেওয়া তালিকা যাচাই–বাছাই শেষে আজ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে ২২ জনকে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁদের দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।

হস্তান্তর করা ব্যক্তিরা হলেন লক্ষ্মীপুরের সুমাইয়া আক্তার (১৯), নোয়াখালীর উম্মে হানি সানু (১৮), বরিশালের ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে, মানিকগঞ্জের ১৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে, গাজীপুরের মিম খাতুন (২০), খুলনার সাহিদা আক্তার মিম (২৪), আফরিন খাতুন (২৭), আরিফ হোসেন (৩১) ও তারেক মোল্লা (৩০), রাজবাড়ীর আবেদা আক্তার (২০), নরসিংদীর শিউলি খাতুন (৩২), পিরোজপুরের মুন্নি আক্তার (২৬), চট্টগ্রামের রোমান (৪২), শরীয়তপুরের রাশেদ মোল্লা (২১), বাগেরহাটের আলাউদ্দিন আপন (২২), নড়াইলের হাবিব মোল্লা (৩৪), রোশন আজিজ (৩৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষ্ণচন্দ্র দাস (২৩), ঢাকার সালাউদ্দিন (৫১), নওগাঁর সাথী পারভিন (৩০), ঠাকুরগাঁওয়ের আরমান আলী (২৩) ও চুয়াডাঙ্গার রওশন আরা খাতুন (২৩)।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ন ড র ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।

ওই ব্যক্তির নাম বদরউদ্দীন (৩০)। তিনি জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।

আরো পড়ুন:

পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ল শিশুটি, বিজিবির সহায়তায় জীবনরক্ষা 

দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক: বিজিবির মহাপরিচালক

বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদরউদ্দীন মানব পাচারে জড়িত। বুধবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাঁচ থেকে ছয় জনকে ভারতে পাচার করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করলে বদরউদ্দীনের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে, ধরা পড়েন তিনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নোনাগঞ্জ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিজিবি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিএসএফ এক জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে লোকমুখে শুনেছি।’’

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘‘অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি, বিএসএফ এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর, সবাই কয়রার বাসিন্দা
  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে
  • জীবননগর সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ