সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর, সবাই কয়রার বাসিন্দা
Published: 1st, October 2025 GMT
সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত পার হওয়ার সময় আটক পাঁচ নারী ও ছয় শিশুসহ ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। তারা সবাই খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা।
বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদের বিজিবির হাতে তুলে দেয়। বিজিবি রাতেই জিডি করে তাদের সাতক্ষীরা সদর থানায় পাঠিয়ে দেয়, যেখানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ল শিশুটি, বিজিবির সহায়তায় জীবনরক্ষা
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর চেক পোস্ট পার হওয়ার সময় এই ১৫ বাংলাদেশিকে ধরে ফেলে বিএসএফ। সম্প্রতি সাতক্ষীরার এই সীমান্ত এলাকাসহ ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরের সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশিদের আটক এবং বিজিরি কাছে হস্তান্তরের ঘটনা রয়েছে।
সবশেষ আটক হওয়া ১৫ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন খুলনার কয়রা উপজেলার ২ নম্বর কয়রা গ্রামের রেজাউল গাজীর স্ত্রী ফজিলা খাতুন (৪৭) ও তার ছেলে মিলন গাজী (১৯), খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার জয়খালী গ্রামের সেলিম মোড়লের ছেলে সবুজ মোড়ল (১২), সবুজ মোড়লের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২২) ও তাদের মেয়ে রাজিয়া খাতুন (০৭), কয়রা উপজেলার মাদারবাড়িয়া গ্রামের মালেক সরদারের ছেলে জাফারুল ইসলাম (৩৮), জাফারুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন (২৮) এবং তাদের ছেলে জামশেদ আলী (১২) ও মেয়ে জীম সুলতানা (০৩)।
আটক অন্য ছয়জন হলেন: কয়রা উপজেলারই ৪ নম্বর কয়রা গ্রামের ওমর আলী সরদারের ছেলে এলেম সরদার (৪৯), এলেম সরদারের স্ত্রী আকলিমা (৪৪) ও তাদের মেয়ে আছিয়া খাতুন (১১), মহারাজপুর গ্রামের মৃত জিয়াদ আলী গাজীর ছেলে মো.
বিজিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে হাকিমপুর চেক পোস্ট পার হওয়ার সময় তারা বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। বুধবার সন্ধ্যায় বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর বিকাশ কুমার ও সাতক্ষীরার তলুইগাছা বিজিবির কমান্ডার আবুল কাশেমের মধ্যস্থতায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটক করা ব্যক্তিদের বিজিবির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক আটক ১৫ বাংলাদেশিকে তার থানায় পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছন, নাম-পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে স্বজনদের ডেকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে তাদের।
২৩ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা তলুইগাছা সীমান্ত অতিক্রম করার সময় পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর চেক পোস্টে বিএসএফের হাতে আটক হন ১০ বাংলাদেশি, যাদের ২৪ সেপ্টেম্বর বিজির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
একই মাসে ঝিনাইদহে মহেশপুর সীমান্ত পার হওয়ার সময় আটক ছয় বাংলাদেশিকে ২২ সেপ্টেম্বর ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ। তার আগে মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত পার হওয়ার সময় আটক ১৮ জনকে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঢাকা/শাহীন/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক প র হওয় র সময় স প ট ম বর ব এসএফ র উপজ ল র সরদ র
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
ওই ব্যক্তির নাম বদরউদ্দীন (৩০)। তিনি জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।
আরো পড়ুন:
পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ল শিশুটি, বিজিবির সহায়তায় জীবনরক্ষা
দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক: বিজিবির মহাপরিচালক
বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদরউদ্দীন মানব পাচারে জড়িত। বুধবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাঁচ থেকে ছয় জনকে ভারতে পাচার করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করলে বদরউদ্দীনের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে, ধরা পড়েন তিনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নোনাগঞ্জ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিজিবি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিএসএফ এক জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে লোকমুখে শুনেছি।’’
মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘‘অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি, বিএসএফ এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব