অভিধানের মতো যার চোখ

নির্ভুল তোমার চোখ;
হালনাগাদ অভিধানের মতো।

যেকোনো অনিশ্চিতে,
তোমাকেই পাঠ করি,
দেখে নিই;

শুদ্ধ হয় সকল বানান!

শনিবার

বারান্দায় দাঁড়ালেই কুয়াশার মিহি
পর্দা গলে তোমার সুঘ্রাণ ভেসে আসে;

কেন ভেসে আসে?

সিঁড়ি বেয়ে নামলেই আমার দেয়াল
ঘেঁষে হয়তো-বা দাঁড়িয়ে রয়েছ একা;

জানি, সত্য নয়!

গতকাল শুক্রবার, স্লোগানের মতো
চলে গেছে মন্থর-মদির পায়ে পায়।
মোহনার মতো আসে আজকের দিন;
এলাচ ভেজানো জলে গা ধুয়েছ বুঝি?

তবে থেকে যাও!

আমি তো করি না মসলার চাষাবাদ।
বড় ঝক্কি, ঝামেলা বিস্তর। তুমি এলে,
একসাথে পলি-বালি-দোআঁশ মিশিয়ে
বুনে দেব সুগন্ধি বীরুৎ, বৃক্ষবীজ।
তুমি এলে, মোহনায় যাব একদিন।
বসে থেকো সমুদ্রের দিকে; কর্ণফুলি
রেখে দেব যেদিকে আমার নীল, কস্তা-
পেড়ে, গাঢ় লেবুগন্ধী রেশম আঁচল।

আজ শনিবার,

শ্যামাঙ্গ ছুটির দিন, সমুদ্রশঙ্খের
মতো নিরাসক্ত হয়ে গেল অকারণ।
তুমি তো এলে না। ফিরে গেল জাদুকরি
এলাচ গন্ধের মতো সুবর্ণ সুবাস।

যে জীবন দূর থেকে ভালো

প্রতিদিন, একাকী লড়াই চালিয়ে নেবার মতো
অতটা সহজ নয় আমাদের যাপিত জীবন।
তবু যে মানুষ জেনেবুঝে সেনাপতিত্বের ভার
সহসাই কোনো সঙ্গীর হাতে করে না সমর্পণ;

কারণ, বছর বছর ধরে পুরাণ সাক্ষী আছে,
যে মহাত্মা খুব কাছে থাকে মানুষের, দাবদাহে
প্রবল প্রেমের বাষ্পে, যে শরীর ধরেছে জড়িয়ে;
তার অধিকারে থাকে সবচেয়ে হত্যার সুযোগ।

তোমাকে দেখেছি বলে

তোমাকে দেখেছি বলে মধ্যসমুদ্রেই
জেগেছে সবুজ দ্বীপ, শস্যের আধার।
কোথায় রাখবে তাকে? জলধির কোন
পাড় ভেঙে যাবে, কোন তটে পলিমাটি
জমে গেলে ফলাবে ফসল? মৃত্তিকার
মতো কেন বহুতল হৃদয় তোমার?
 
কোথায় রাখবে তাকে? লুকাবে কোথায়?
যাকে তুমি পারোনি এড়াতে, গোলার্ধের
এপার-ওপার! যে দেখা হওয়ার নয়,
সেই দেখা হয়ে গেছে; যে গানে লাগে না
সুর, সেই গান বেজে গেছে স্বরলিপি মেনে
নির্ভুল। যে শঙ্খে পড়েনি জল বহুদিন,
সন্ধ্যারতির পর তাকেও বাজাল কে?
বাজাল কি প্রিয়তমা রমণী তোমার?

তোমাকে দেখেছি বলে হে ঋষি-বালক,
সমস্ত ধূলিমাটি হয়েছে মল্লার;
জেগেছে ঘাসের মতো প্রতিমা ও প্রেম;
নিভেছে আয়ুর মতো, ফিরেছে বিষের
মতো নীলকণ্ঠ ফুলের সম্ভার; ডেকেছে
মৃত্যুর মতো, ভেঙেছে শিলার মতো
অকস্মাৎ বাদলের পায়ে। হে বালক,
তোমাকে দেখেছি বলে সময়-সমুদ্র-
চরাচর—সব গ্যাছে থেমে; ‘মৃত্যুহীন’
হয়ে আছে জরাগ্রস্ত, মুমূর্ষু নগর! 

পাসপোর্ট

চলে যাও, নিঃশব্দে; নিশাচর শিকারি শ্বাপদ
হেঁটে যায় শব্দহীন। দেখো না পেছনে বারবার।
তাকালেই পোড়া গন্ধ, ভাঙা দেয়াল, বিদীর্ণ ঘর;
কে না জানে? তোমার স্থপতি মন পলেস্তারা খসে
ঝুরঝুর নত হয়ে যাবে।

নিঃশব্দে চলে যাও।
নগরে কমেছে শৈত্যবাহ। আমি বহুদিন পর
অসময়ে জানালা খুলেছি। কাঠবাদামের গাছ
লাল-সবুজের অপরিষ্কার পাতায় আঁটসাঁট;
এ শহরে শীতল শিশির, আসে না বর্ষার মতো।
নাগরিক যানজটে দেরি হয়ে যাবে অকারণ।
তোমাকে তো যেতে হবে বহুদূর; মহাসমুদ্রের
ওই পার।

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমাদের আলাদা
করেছে দুই রঙিন পাসপোর্ট,
আর কিছু নয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র মত

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি উবায়দুর রহমান সেলিমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সেলিম উপজেলার ইটনা সদর ইউনিয়নের পশ্চিমগ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ইটনা উপজেলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল গ্রেপ্তারের তথ্য জানান। 

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে ঠিকাদারির টাকা নিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক

গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

জাফর ইকবাল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ইটনা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সেলিম। বিকালে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ