মৃত্তিকার মতো কেন বহুতল হৃদয় তোমার
Published: 17th, August 2025 GMT
অভিধানের মতো যার চোখ
নির্ভুল তোমার চোখ;
হালনাগাদ অভিধানের মতো।
যেকোনো অনিশ্চিতে,
তোমাকেই পাঠ করি,
দেখে নিই;
শুদ্ধ হয় সকল বানান!
বারান্দায় দাঁড়ালেই কুয়াশার মিহি
পর্দা গলে তোমার সুঘ্রাণ ভেসে আসে;
কেন ভেসে আসে?
সিঁড়ি বেয়ে নামলেই আমার দেয়াল
ঘেঁষে হয়তো-বা দাঁড়িয়ে রয়েছ একা;
জানি, সত্য নয়!
গতকাল শুক্রবার, স্লোগানের মতো
চলে গেছে মন্থর-মদির পায়ে পায়।
মোহনার মতো আসে আজকের দিন;
এলাচ ভেজানো জলে গা ধুয়েছ বুঝি?
তবে থেকে যাও!
আমি তো করি না মসলার চাষাবাদ।
বড় ঝক্কি, ঝামেলা বিস্তর। তুমি এলে,
একসাথে পলি-বালি-দোআঁশ মিশিয়ে
বুনে দেব সুগন্ধি বীরুৎ, বৃক্ষবীজ।
তুমি এলে, মোহনায় যাব একদিন।
বসে থেকো সমুদ্রের দিকে; কর্ণফুলি
রেখে দেব যেদিকে আমার নীল, কস্তা-
পেড়ে, গাঢ় লেবুগন্ধী রেশম আঁচল।
আজ শনিবার,
শ্যামাঙ্গ ছুটির দিন, সমুদ্রশঙ্খের
মতো নিরাসক্ত হয়ে গেল অকারণ।
তুমি তো এলে না। ফিরে গেল জাদুকরি
এলাচ গন্ধের মতো সুবর্ণ সুবাস।
প্রতিদিন, একাকী লড়াই চালিয়ে নেবার মতো
অতটা সহজ নয় আমাদের যাপিত জীবন।
তবু যে মানুষ জেনেবুঝে সেনাপতিত্বের ভার
সহসাই কোনো সঙ্গীর হাতে করে না সমর্পণ;
কারণ, বছর বছর ধরে পুরাণ সাক্ষী আছে,
যে মহাত্মা খুব কাছে থাকে মানুষের, দাবদাহে
প্রবল প্রেমের বাষ্পে, যে শরীর ধরেছে জড়িয়ে;
তার অধিকারে থাকে সবচেয়ে হত্যার সুযোগ।
তোমাকে দেখেছি বলে মধ্যসমুদ্রেই
জেগেছে সবুজ দ্বীপ, শস্যের আধার।
কোথায় রাখবে তাকে? জলধির কোন
পাড় ভেঙে যাবে, কোন তটে পলিমাটি
জমে গেলে ফলাবে ফসল? মৃত্তিকার
মতো কেন বহুতল হৃদয় তোমার?
কোথায় রাখবে তাকে? লুকাবে কোথায়?
যাকে তুমি পারোনি এড়াতে, গোলার্ধের
এপার-ওপার! যে দেখা হওয়ার নয়,
সেই দেখা হয়ে গেছে; যে গানে লাগে না
সুর, সেই গান বেজে গেছে স্বরলিপি মেনে
নির্ভুল। যে শঙ্খে পড়েনি জল বহুদিন,
সন্ধ্যারতির পর তাকেও বাজাল কে?
বাজাল কি প্রিয়তমা রমণী তোমার?
তোমাকে দেখেছি বলে হে ঋষি-বালক,
সমস্ত ধূলিমাটি হয়েছে মল্লার;
জেগেছে ঘাসের মতো প্রতিমা ও প্রেম;
নিভেছে আয়ুর মতো, ফিরেছে বিষের
মতো নীলকণ্ঠ ফুলের সম্ভার; ডেকেছে
মৃত্যুর মতো, ভেঙেছে শিলার মতো
অকস্মাৎ বাদলের পায়ে। হে বালক,
তোমাকে দেখেছি বলে সময়-সমুদ্র-
চরাচর—সব গ্যাছে থেমে; ‘মৃত্যুহীন’
হয়ে আছে জরাগ্রস্ত, মুমূর্ষু নগর!
চলে যাও, নিঃশব্দে; নিশাচর শিকারি শ্বাপদ
হেঁটে যায় শব্দহীন। দেখো না পেছনে বারবার।
তাকালেই পোড়া গন্ধ, ভাঙা দেয়াল, বিদীর্ণ ঘর;
কে না জানে? তোমার স্থপতি মন পলেস্তারা খসে
ঝুরঝুর নত হয়ে যাবে।
নিঃশব্দে চলে যাও।
নগরে কমেছে শৈত্যবাহ। আমি বহুদিন পর
অসময়ে জানালা খুলেছি। কাঠবাদামের গাছ
লাল-সবুজের অপরিষ্কার পাতায় আঁটসাঁট;
এ শহরে শীতল শিশির, আসে না বর্ষার মতো।
নাগরিক যানজটে দেরি হয়ে যাবে অকারণ।
তোমাকে তো যেতে হবে বহুদূর; মহাসমুদ্রের
ওই পার।
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমাদের আলাদা
করেছে দুই রঙিন পাসপোর্ট,
আর কিছু নয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র মত
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।